শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন ও ভ্যাটদাতার পুরস্কার পেলো ওয়ালটন
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন তৈরি ও মেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার পুরস্কার পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
রোববার বিকেলে মেলার সমাপনী দিনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নের পুরস্কার গ্রহণ ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. হুমায়ুন কবির। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতার পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) মো. এমদাদুল হক সরকার।
বাণিজ্য মেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ ভ্যাট আদায় হয়েছে। মোট ভ্যাট আদায় হয়েছে দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে ওয়ালটন দিয়েছে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত ভ্যাট প্রদানে শীর্ষে ছিল ওয়ালটন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ফার্নিচার প্রতিষ্ঠান হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড (১৬ লাখ ২১ হাজার টাকা, তৃতীয় অবস্থানে আছে র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা)।
আর শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন ওয়ালটনের পরের অবস্থানে আছে ফার্নিচার প্রতিষ্ঠান হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস এবং আক্তার ফার্নিচার।
জানা গেছে, এর আগে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা হিসেবে একটানা পর পর সাতবার পুরস্কার পেয়েছে ওয়ালটন। এছাড়া সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কারও পেয়েছে অনেকবার। এর মধ্যে পরপর তিনবার সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, পুরস্কার পেতে সবারই ভালো লাগে। ওয়ালটন পুরস্কার পেয়েছে এটি শুধু ওয়ালটনের নয়, এটি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের। এতে করে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ওয়ালটনের দায়বদ্ধতা আরো বেড়ে গেলো। ভবিষ্যতে টেকসই, মানুষের রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী ওয়ালটন দেশিয় পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে এদেশের মানুষকে উপহার দেবে।
ওয়ালটন এবার মেলায় মোবাইল ফোনসহ চার শতাধিক মডেলের পণ্য নিয়ে আসে। মেলার শুরু থেকেই এসব পণ্যে নগদ ছাড়সহ হোম ডেলিভারি দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ২১তম এ আসরের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, এবার বাণিজ্য মেলায় মোট ৩০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, এ বছর রফতানি আদেশ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ দশমিক ০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত বছর ছিল ১২ দশমিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রফতানি আদেশ পাওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্সস, বহুমুখী, পাট পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, বাসনজাতপণ্য, হ্যান্ডলুম ও হস্তশিল্পজাত পণ্য এবং হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি।
এসআই/বিএ