গ্যাস সংকটে ইউরোপের ভরসা আফ্রিকা, তৈরি হচ্ছে পাইপলাইন
রাশিয়ার জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে এবার আফ্রিকার দিকে নজর দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চলমান গ্যাস সংকট কাটাতে তারা ভরসা করছে মূলত আলজেরিয়া, নাইজার ও নাইজেরিয়ার ওপর। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ইউরোপে গ্যাস পাঠাতে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাইপলাইন নির্মাণে সমঝোতাপত্রে সই করেছে আফ্রিকার এ তিন দেশ। খবর ডয়েচে ভেলের।
এই পাইপলাইন যাবে সাহারা মরুভূমির ওপর দিয়ে। এটি তৈরিতে খরচ হবে ১ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। চালু হয়ে গেলে এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে এক ট্রিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস নাইজেরিয়া থেকে নাইজার ও আলজেরিয়া হয়ে ইউরোপে পাঠানো যাবে।
আলজেরিয়ায় গ্যাস যাওয়ার পর তা হয় ভূমধ্যসাগরের নিচে পাইপলাইন দিয়ে অথবা এলএনজি ট্যাঙ্কারে করে ইউরোপে পৌঁছাবে।
এই পদ্ধতিতে চার দশক আগেই আফ্রিকা থেকে ইউরোপে গ্যাস নেওয়ার প্রস্তাব উঠেছিল। কিন্তু সেই প্রকল্প বেশিদূর এগোয়নি। সাহেল অঞ্চলে আইএস ও আল-কায়েদার নিয়মিত হামলা এবং আলজেরিয়া ও নাইজারের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এতদিন পাইপলাইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি আলাদা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সব কিছু আরও জটিল হয়ে গেছে। ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একঝাঁক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জবাবে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তাতে মহাসংকটে পড়েছে ইউরোপীয়রা। তারা এখন হন্যে হয়ে রুশ জ্বালানির বিকল্প খুঁজছে।
গত সপ্তাহে ইইউ’র দেশগুলো গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, আগামী শীতে রাশিয়া গ্যাসের সরবরাহ আরও কমিয়ে দেবে।
এছাড়া, ২০২১ সালে আবারও সীমান্ত খুলেছে আলজেরিয়া ও নাইজার। এরপর পাইপলাইন নিয়ে আলোচনা ফের শুরু হয়েছিল। এবার সে বিষয়ে সমঝোতাপত্রও সই হলো।
কেএএ/এমএস