৩০ রুপির লটারিতে রাতারাতি কোটিপতি
৩০ রুপিতে কেনা লটারিতে কোটি রুপি জিতে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার জগন্নাথ মণ্ডল। বুধবার (২৭ জুলাই) ছেলের আবদার মেটাতে কাটা লটারির টিকিটে রাতারাতি ভাগ্য বদলেছে তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদীয়ার রানাঘাট থানার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের উকিলনাড়ার বাসিন্দা জগন্নাথ। গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী ভিলেজ রিসোর্স পার্সনের চাকরি করে মাসে পেতেন মাত্র পাঁচ হাজার টাকা।
বুধবার দুপুরে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে তার এক ছেলে লটারি কেনার আবদার করে আসছিল। পকেটে খুব বেশি টাকা না থাকলেও ছেলের আবদারের কথা মাথায় রেখে শেষমেশ লটারি কিনে ফেলেন তিনি।
কিন্তু সেই লটারিতে কোটি রুপি বাধবে তা জগন্নাথ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বুধবার বিকেলে লটারির ফলাফল বেরনোর পর জগন্নাথ জানতে পারেন তিনিই প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। তাও আবার দু-এক লাখ নয়, এক কোটি রুপি।
খবরটা শোনার পর হাসবেন না কাঁদবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। দেরি না করে তিনি ছুটে যান বাড়িতে। খবরটি জানান স্ত্রী মিতালি মণ্ডলকে। স্বামী-স্ত্রী দুজনের চোখ দিয়েই আনন্দ অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই জগন্নাথ সিদ্ধান্ত নেন, পুরস্কারের অর্থ হাতে পেয়ে প্রথমেই বাড়ির পাশে সর্বজনীন কালী মন্দিরটি সংস্কার করে বড় করবেন। সেইসঙ্গে আরও কিছু অর্থ সামাজিক কাজে ব্যয় করবেন, দুই ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন।
জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, লটারি কেনার অভ্যাস আমার ছিল না। মাসে একবার আমার ওই ছেলেটি এলে ৩০ রুপির লটারি কাটতাম। বুধবারেও কেটেছিলাম, তবে সেটাতে এত টাকা বাধবে ভাবিনি।
মিতালী দেবী বলেন, ভাগ্যদেবতা আমাদের দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন। আমরা কোটি রুপির মালিক হবো তা কোনোদিনও ভাবিনি।
এসএএইচ/জিকেএস