মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে বিএনপি-জামায়াতকে হানিফের হুঁশিয়ারি


প্রকাশিত: ০৮:৩১ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬

বিএনপি-জামায়াতকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মিমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতির মধ্য কোন বিভক্তি করা, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার কোন অশুভ চক্রান্ত সুফল বয়ে আনবে না।

‘এই ধরনের অপচেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের কোন অপচেষ্টা করা হলে দেশবিরোধী এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপকর্মের জন্য আইনের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার দলের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, বর্তমান সরকার যে পরিমাণ উন্নয়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দেখে বিএনপিসহ এই দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।  হতাশা থেকে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশের মধ্য নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের জন্য এই ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধের মিমাংসিত বিষয়ে শুধুমাত্র রাজাকার ও রাজাকার পরিবারের সন্তানেরাই প্রশ্ন তুলতে পারেন বলে মন্তব্য করেন হানিফ।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বা বিএনপির রাজনীতি বলতে কিছু নেই। তারা (বিএনপি) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে যে অন্যায়, দুর্নীতি করেছিলো তার জন্য তারা জনগণ দ্বারা অধিকৃত হয়েছে। ক্ষমতার বাইরে থাকতে তাদের সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আজকে রাজনীতি থেকে তারা বহুদূরে ছিটকে পড়েছে।

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের উপর বিএনপি চেয়ারপারসন আঘাত করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এর জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি রিট হয়েছে। দেশের সকল নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়ে তার (খালেদা) বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারেন।

আওয়ামী লীগ হয়রানির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার বিশ্বাসঘাতক। খালেদা জিয়া এখন সাধারণ মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আগুনের সন্ত্রাসের রানী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এই দেশে দুর্নীতির রানী হিসেবে পরিচিত। খালেদা জিয়ার রাজনীতির ক্যারিয়ার ধ্বংস করার আর কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না। তারেক রহমান দুর্নীতির কারণে ১১/এর পর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের রাজনৈতিক ইমেজ বলে কিছু আছে দেশবাসী মনে করে না। তাদের ইমেজ ধ্বংস করার মতো কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।

এএসএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।