বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে চীন-মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার প্রতি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর অগ্রাধিকার অব্যাহত রাখবে চীন। এছাড়া, উভয় দেশই বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) পুত্রজায়ায় চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। আমি মনে করি, সব সংঘাতের সমাধান আলোচনার টেবিলে হওয়া উচিত, যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। আজকের ঘণ্টাব্যাপী সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক-ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার সরকারি উদ্যোগে জড়িত হওয়ার জন্য চীন থেকে আরও বেশি সরকারি প্রতিনিধি-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আগ্রহকে স্বাগত জানাই।
ইসমাইল সাবরি বলেন, ইস্ট কোস্ট রেল লিংকের (ইসিআরএল) মতো উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অবকাঠামো কোম্পানিগুলোকে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। লাওস ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত রেল নেটওয়ার্কও অব্যাহত রাখতে চায় চীন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, খুব শিগগির চীনে একটি সরকারি সফর করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি খছিয়াংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা আছে।
ওয়াং ইয়ে সোমবার (১১ জুলাই) মালয়েশিয়ায় দুদিনের সরকারি সফরে এসেছেন। দুই বছর আগে তিনি সর্বশেষ মালয়েশিয়া সফর করেছিলেন।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০১৩ সালে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্তরে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই মালয়েশিয়া-চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ হতে চলেছে। দুই দেশ আগামী বছর এ অংশীদারিত্বের দশম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
আহমাদুল কবির/এসএএইচ/এএসএম