শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত


প্রকাশিত: ০৮:৫২ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

টানা দরপতনে নেতিবাচক ধারায় দেশের পুঁজিবাজার। বাজার উন্নয়নে নতুন নতুন নীতি ও নানা উদ্যোগ আর প্রণোদনা সত্তেও কিছুতেই যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার। সপ্তাহ জুড়ে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। দর পতন হয়েছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। একই সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে পিই রেশিও ও বাজার মূলধনও।

দেশের পুঁজিবাজারে সূচকগুলো স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। তার পরও বাজার ঘুরে না দাঁড়ানোর এক মাত্র কারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব। যার কারণে নানা উদ্যোগ ও প্রণোদণা দেওয়া সত্ত্বেও পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বলছেন বিশ্লেষকরা। আর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে প্রয়োজন শেয়াবাজারে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নীতির বাস্তবায়ন প্রয়োজন।আর বাজার সংশ্লিষ্ট ও নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দেশের প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজার উন্নয়ন হচ্ছে তবে যে হারে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হচ্ছে না। দেশের শেয়ারবাজার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের নিয়ম নীতি করা হয়েছে। তা পুরোপুরি প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ বলেও মনে করছেন তারা।
 
এদিকে সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহে শেষে কমেছে ৮৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮১ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক কমেছে ২১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর শরীয়াহ সূচক বা ডিএসইএস কমেছে ১৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

গেল সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬ টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। আর লেনদেন হয়নি ৫টি কোম্পানির শেয়ার।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬২৩ টাকার। যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭৮৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বা ২৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৫ টাকার।গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৫৮৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৬ কোটি ৫৪ লাখ ৮১ হাজার ৬৭৮ টাকায়। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহে সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ৯০ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর সার্বিক সূচক সিএসইএক্স কমেছে ১ দশমিক ০১ শতাংশ।

সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৫৭ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৭ টাকা।

এসআই/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।