কঠিন সমস্যার সহজ সমাধান


প্রকাশিত: ০২:৩৯ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

পাসপোর্ট অফিসগুলোতে ঝক্কি-ঝামেলার কোনো শেষ নেই। একজন সেবা গ্রহীতাকে এ নিয়ে কী পরিমাণ দুর্ভোগে পড়তে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। নতুন পাসপোর্ট করা, হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট উদ্ধারসহ এই সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে ঘাম ঝরে অনেকেরই। কিন্তু এই কঠিন সমস্যা যদি ঘরে বসেই সমাধান করা যায় এরচেয়ে ভালো খবর আর কী হতে পারে। আশার কথা হচ্ছে এই রকমই একটি উদ্যোগ নিয়েছে পাসপোর্ট অধিদফতর। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) দিকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ফেসবুকে ‘Department of Immigration and Passports’ নামে একটি পেইজ খুলে পাসপোর্ট অধিদফতর।

পেইজটি থেকে আবেদনকারীরা ওয়ানস্টপ সার্ভিস পাবে। এর মাধ্যমে আবেদনকারীদের মূল্যবান সময়ও বাঁচবে। ফেসবুক পেজটিতে অধিদফতরের সকল প্রকার সম্মেলন, আলোচনা সভা ও মিটিংয়ের দিন-তারিখ ও আলোচ্য বিষয় তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহও তুলে ধরা হয়। পোস্ট করা হয় পাসপোর্ট অফিসের হালচাল সম্পর্কেও। এছাড়া কয়েকমাস আগে পাসপোর্ট অফিসের সার্ভারের সমস্যার বিষয়টিও জন সাধারণকে জানানো হয় এই ফেসবুক পেইজ থেকেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার জন্য কোন দেশে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, তাদের ফোন নম্বরও দেয়া হয় এই ফেসবুক পেইজে। শেয়ার করা হয় পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত নিউজ। শুধু অধিদফতর নয়, দেশের ৬৬টি পাসপোর্ট অফিসের আলাদা ফেসবুক পেইজও রয়েছে। সেখানেও সবাই অভিযোগ, তথ্যানুসন্ধান করতে পারবে। পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলা এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়া ছাড়া পাসপোর্ট তৈরির গাইডলাইনও দেয়া হয় এ ফেসবুক পেইজ থেকে। এই সেবা চালু রেখে জনসেবা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

পাসপোর্ট অফিসের দুর্ভোগ নিয়ে মানুষের অভিযোগের কোনো অন্ত নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিদফতর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব করার যে উদ্বোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য। কঠিন সমস্যার এই সহজ সমাধান নাগরিকদের দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা কমাতে সাহায্য করবে- এ কথা বলা যায় নিশ্চিত করেই। শুধুই মুখেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বললে চলবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। পাসপোর্ট অধিদফতর যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেন অন্যরা। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। এরফলে জনদুর্ভোগ যেমন কমবে তেমনি কাজে-কর্মে আসবে স্বচ্ছতা। নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা। এরফলে দুর্নীতির পথও হবে বন্ধ। আমরা আরো এ ধরনের উদ্যোগ দেখতে চাই।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।