আশুগঞ্জে দুই মেয়েকে বিক্রি : রিমান্ডে বাবা


প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

বিদেশে যাওয়ার টাকা জোগাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মারিয়া আক্তার (০৬) ও সামিয়া আক্তার (০৪) নামে দুই মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিদেশে যাওয়ার টাকা জোগাতে মারিয়া আক্তার (০৬) ও সামিয়া আক্তার (০৪) নামে দুই কন্যা শিশুকে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা মনির হোসেনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশুগঞ্জ থানায় বুধবার মামলাটি দায়ের করেছেন তার স্ত্রী রত্না বেগম।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত মনির হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন তার দুই মেয়ে মারিয়া আক্তার (০৬) ও সামিয়া আক্তারকে (০৪) কোরআন শিক্ষার জন্য মসজিদে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু মনির মারিয়া ও সামিয়াকে নিয়ে মসজিদ থেকে না ফিরে পালিয়ে যান তিনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মনিরের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এক পর্যায়ে রত্না বেগম জানতে পারেন, তার স্বামী মনির হোসেন নবীনগর উপজেলার ছয়ঘরহাটি এলাকায় রয়েছেন। এরপর ২৬ জানুয়ারি সেখানে গিয়ে মনিরের সঙ্গে দেখা করেন রত্না বেগম। এসময় মনির বিদেশে যাওয়ার টাকার জোগাতে রতন দেবনাথের কাছে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে মারিয়া ও সামিয়াকে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে রত্নাকে জানায়।

পরে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় মনিরকে আটক করে বুধবার দুপুরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় রত্না বেগম তার স্বামী মনির হোসেন ও রতন দেবনাথের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার মনিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আল মামুন জাগো নিউজকে জানান, মনির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুই মেয়েকে উদ্ধার এবং রতন দেবনাথকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।