গ্যাসের অভাবে কাঠ পুড়িয়ে রান্নায় ফিরেছে শ্রীলঙ্কা
এক সময়ে তুলনামূলকভাবে সমৃদ্ধ শ্রীলঙ্কায় চলছে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট। আমদানি নির্ভর দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠেকেছে তলানিতে। এতে সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে দেশটির জ্বালানিখাতে। স্টেশনগুলোতে দেখা দিয়েছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় গ্যাসের অভাবে সেখানকার মানুষ রান্নার কাজে কাঠ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। বুধবার (৬ জুলাই) ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছরের শুরুতে মূলত দেশটির মানুষ কাঠ দিয়ে রান্না আরম্ভ করে। কারণ এসময় সরবরাহকারীরা খরচ কমাতে প্রোপেনের অনুপাত বাড়ায়। এতে চাপের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায় ও এক হাজারের বেশি চুলায় বিস্ফোরণ ঘটে। মারা যান অন্তত সাতজন। আহত হন শতাধিক।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে গ্যাস সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। হয় পাওয়া যাচ্ছে না, না হয় দাম আকাশচুম্বী।
দেশটির অনেকেই আবার কেরোসিনের চুলা ব্যবহারের চেষ্টা করছে। তবে ডলার না থাকায় সরকার পেট্রল ও ডিজেলে মতো এটিও আমদানি করতে পারছে না।
অন্যদিকে যারা রান্নার জন্য ইলেকট্রিক কুকার কিনেছেন তারাও ধাক্কা খেয়েছেন। কারণ একদিকে রয়েছে দীর্ঘ লোডশেডিং অন্যদিকে জেনারেটর চালানোর জ্বালানি নেই।
তাছাড়া প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। গত কয়েক দশকের মধ্যে শ্রীলঙ্কা মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
এমএসএম/এএসএম