জাপা মহাসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা


প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

দুর্নীতি মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত।

একই সঙ্গে এই মামলার আরেক আসামি মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

সোমবার যশোরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই নির্দেশ দেন।

আসামি মীর শহিদুল্লাহ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ কেরুয়া গ্রামের হাজী মীর আবদুর রশিদের ছেলে এবং যশোরের নওয়াপাড়ার বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সাবেক প্রধান সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে চাকরির সময় ১৯৮৮ সালের ৬ মে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল্লাহ চাকরিচ্যুত হন। ১৯৮৯ সালের ১৭ আগস্ট বেতন বিহীন শর্ত সাপেক্ষে বস্ত্র ও শিল্প কর্পোরেশন মন্ত্রণালয়ের আদেশে আবার তার চাকরি বহাল রাখা হয়। সে মোতাবেক পাঁচ দিন পর ২৩ আগস্ট তিনি চাকরিতে যোগদান করেন।

এরপর তিনি সে সময়ের বস্ত্র ও শিল্পমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুল হক এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগসাজসে ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট এক লাখ ৬১১ টাকা বেতন উত্তোলন করেন।

এই অনিয়মের ঘটনায় যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক সুখরঞ্জন জমাদ্দার বাদী হয়ে ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মীর শহিদুল্লাহ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নূরুল হক এবং হুমায়ুন কবিরসহ চারজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবুল বাসার এ মামলায় মীর শহিদুল্লাহ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। আর এ মামলা থেকে অব্যাহতি পান নুরুল হক হুমায়ুন কবির।

এরপর ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি রুহুল আমিন হাওলাদার যশোর আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু এরপর আর তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। সে কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি মীর শহিদুল্লাহও এতোদিন পলাতক ছিলেন।

সোমবার মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুহুল আমিন হাওলাদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখেন।

মিলন রহমান/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।