আ.লীগের এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি


প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জেতাতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে হুমকি, লাঞ্ছিত করা ও তার বাসায় বোমা মারার  ঘটনায় ময়মনসিংহ-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব আবদুর রব হাওলাদারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দি) আসনের সংসদ সদস্যের নির্বাচনকালীন ভূমিকার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ইসি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টিগোচর করা আবশ্যকীয় বলে নির্বাচন কমিশন মনে করে”।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া একটি চিঠির ছায়ালিপিও প্রধানমন্ত্রীর অবলোকনের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ইসি সচিব চিঠিতে জানান, ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ২৩৪ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারই পৌর মেয়র পদে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলভিত্তিক ও দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেয়। এতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন।

বিষয়টি স্পিকারের দৃষ্টিগোচরে আনতে একইভাবে চিঠি দেয়া হয়েছে সংসদ সচিবের কাছে।

এদিকে, ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত পালের অভিযোগ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছে। সেখান থেকেই তা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুব্রত পাল জানান, ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফল ঘোষণার সময় তার কার্যালয় ও বাসায় বোমা হামলা হয়। ভোটের পর সার্বিক বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসককে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো অভিযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের প্রভাব খাটানোর বিষয়টি বলা হয়েছে। সরকারদলীয় প্রার্থীকে জেতাতে ওই সংসদ সদস্য ফোনে বারবার চাপ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য ভয়ভীতিও দেখিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচরে বিএনপির আমিনুল হক ৪ হাজার ৮৩৭ ভোট পেয়ে মেয়র পদে বিজয়ী হন। নিকটতম আওয়ামী লীগের শশধর সেন পান ৩ হাজার ৮৯২ ভোট। ওই রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুব্রত পাল নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।

আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থীকে ভোটের আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শোকজ নোটিশও দিয়েছিলেন এ রিটার্নিং কর্মকর্তা। ভোটের ফলাফল ঘোষণাকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুব্রত পালের ইউএনও বাসভবনে বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে।

এইচএস/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।