জেএমবির হামলার আশঙ্কায় সতর্ক ভারত


প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ভারতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারি বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী জামায়াতুল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) হামলার আশঙ্কায় ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম সীমান্ত ব্যবহার করে জেএমবি হামলার আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।

ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে হামলার জন্য পশ্চিম এশিয়া থেকে আইএস জঙ্গিদের অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে সরকারের কাছে তথ্য আছে। এজন্য হাওয়ালা রুটও ব্যবহার করতে পারে আইএস।

এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতাকে হত্যার হুমকি দেয় আইএস। আইএসের হয়ে বাংলাদেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এ হামলা চালাতে পারে বলে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। আর আইএসের হয়ে এসব হামলায় জেএমবির ক্যাডাররা অংশ নিয়েছে। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায়ও জেএমবির জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আইএসের হুমকির জেরে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে জেএমবির হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না নয়াদিল্লির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবির জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকাগুলোতে কড়া নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির অাইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। কলকাতা, আসাম, ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।

দেশটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতে ইসলামিক স্টেটের হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে জুন্দাল খলিফা। থান জেলার মুম্বারা শহরের মুদাব্বির শেইখ এ সংগঠনটির আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। চরমপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে জুন্দাল খলিফা ভারতে হামলায় অংশ নিতে পারে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় কড়া নিড়াপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।