চিকিৎসকদের আশঙ্কাই সত্যি হলো
সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদকে নিয়ে চিকিৎসকদের আশঙ্কাই সত্যি হলো। হার্টে তিন তিনটি ষ্ট্যান্ট (রিং), অনিয়ন্ত্রিত উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও সর্বশেষ সার্ভিক্যাল কমপ্রেসিভ মাইলো রেডিকিউলোপ্যাথিতে আক্রান্ত হওয়ায় হাত-পা অবশ থাকায় অস্ত্রোপচার পরবর্তী মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়াসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
অস্ত্রোপচারে পর প্রাণে বেঁচে গেলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কতদিন লাগবে তা নিয়ে কোনো অনুমাননির্ভর দিনক্ষণ উল্লেখ করতে পারছিলেন না তারা। তাদের চেষ্টার বিন্দুমাত্র ঘাটতি থাকবে না উল্লেখ করে চিকিৎসকরা গণমাধ্যমে এসব কথা না লেখার অনুরোধও জানিয়েছিলেন। জাগো নিউজ এ নেতিবাচক তথ্যটি জেনেও গোপনই রেখেছিলেন! কিন্তু চিকিৎসকদের সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়ে আজ (রোববার) সকালে পরপারে পাড়ি জমালেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি সাংবাদিক বান্ধব নেতা আলতাফ মাহমুদ।
আলতাফ মাহমুদের অস্ত্রোপচারে যাওয়ার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়ার নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যেতে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন। ভর্তির সময় তার ডায়াবেটিস ছিল খুবই অনিয়ন্ত্রিত।
জানা যায়, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দবিরউদ্দিনের নির্দেশনায় ইনসুলিন দিয়ে তার ডায়াবেটিস মোটামোটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আলতাফ মাহমুদ হৃদরোগী ছিলেন। ব্লক থাকায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হার্টে তিনটি রিং বসানো হয়। তিনি নিয়মিত হার্টের অসুখের জন্য ইকোস্প্রিন জাতীয় ওষুধ খেতেন। সার্ভিক্যাল কমপ্রেসিভ মাইলো রেডিকিউলোপ্যাথি রোগীরা হৃদরোগে আক্রান্ত থাকলেও অস্ত্রোপচারের চার পাঁচদিন আগে থেকেই ওষুধ বন্ধ করতে হয়। চিকিৎসকরা সেই সাবধানতা অবলম্বন করছিলেন।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়া রোববার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সকল চিকিৎসকরা গ্রীণ সিগন্যাল দেয়ার পর সফল অস্ত্রোপচার করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা সহায় হননি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ও সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ রোববার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার (আলতাফ মাহমুদের) মৃত্যুতে জাগো নিউজ পরিবারও গভীর শোকাহত।
এমইউ/আরএস/এমএস