শেখ হাসিনাকে হত্যায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে


প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, আমি জানি সামনে অনেক ঘটনা ঘটবে। কারণ যখন সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের সব পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন তারা সংঘাতের পথ বেছে নেয়। তারা মানুষ মারার চেষ্টা করবে, তারা বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলার চেষ্টা করবে। আর তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, আমাদের সবাইকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যিনি সবসময় শুধু আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তা করেন তার জন্য দোয়া করতে হবে।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১২৮তম আবির্ভাবের মহোৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের নতুন পালপাড়া এলাকায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মাটিতে গোলাম আজমকে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিলাম বলে আমার ভাবির মতো সাজগোজ করা খালেদা জিয়া আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এবং তিনি তা করেছেনও। তিনি আমাকে ১৬ জুন চাষাঢ়া বোমা হামলায় মেরে ফেলার চেষ্টা করিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যগুণে আমি বেঁচে যাই। এখনো এই হামলায় গুরুতর আহত অনেকে সেদিনেই সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। সারাদেশের সবচেয়ে বড় দুটি জঙ্গিদের ঘাঁটি রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আমাদের কাছে সকল তথ্যই রয়েছে। এই দুটির মধ্যে একটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ও আরেকটি সিদ্ধিরগঞ্জের বর্ডারে। জঙ্গিদের এই দুটি ঘাঁটিতে তাদের একটি গ্রুপ রয়েছে যারা ‘হিট অ্যান্ড রান’ নামেই পরিচিত।

‘যদি কেউ মনে করে থাকেন ধর্মের দোহাই দিয়ে আঘাত করবেন তাহলে হুশিয়ার হয়ে যান’ বক্তব্যে যোগ করেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, প্রত্যেক ধর্মেই মানুষের জন্য কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সুতরাং ডু সামথিং ফোর দ্য পিপল। আমার নেত্রীও আমাকে তা শিখিয়েছেন। তিনি খালেদার মতো মানুষ পোড়াতে শিক্ষা দেননি। তার পোড়ানোর দৃশ্য আমি দেখেছি তিনদিন আগে চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকে জ্বালাও পোড়াওয়ের আহত ও নিহতদের পরিবারদের আর্থিক সহায়তা দিতে। সেখানে দিয়ে তাদের দেখে আমি অনুষ্ঠানে ফুলও নেইনি। এগুলো কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না।

তিনি বলেন, সব ধর্মেই যুগে যুগে কিছু কিছু লোক রয়েছে যারা বাটপার, নিজামীর মতো ধর্মকে বিক্রি করে খায়। এরাই বিগত সময় ৪৫১টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে আন্দোলনের নাম করে। এদেরকে ধর্মের নাম ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়।

অনুষ্ঠানে জেলা সৎসঙ্গের সভাপতি সমীর করের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মুখ্য আলোচক ছিলেন অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ হিমায়িতপুর পাবনার সচিব রবীন্দ্রনাথ সরকার।

বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত আলোচক পঙ্কজ মৃধা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর ফাদার তপন কামিলুস ডিরোজারিও, বিন করুনা ভিক্ষু, প্যানেল মেয়র শারমিন হাবিব বিন্নি। অনুষ্ঠানে সাগত বক্তব্য রাখেন স্মরণ উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ সাহা।

মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।