সপ্তাহ জুড়ে নেতিবাচক ধারায় পুঁজিবাজার
সপ্তাহ জুড়ে ধারাবাহিক দরপতনে নেতিবাচক ধারায় ছিল দেশের পুঁজিবাজার। গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুইদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বাকি তিনদিন দরপতন হয়েছে। এসময় সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও। দর হারিয়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। একই সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে পিই রেশিও ও বাজার মূলধনও।
সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহে শেষে কমেছে ৩৭ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১০ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর শরীয়াহ সূচক বা ডিএসইএস কমেছে ১ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে লেনদেন হওয়া বেশিভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ১৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৫ টাকার। যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ১৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৩ টাকা।গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৫৮৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৬২৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৯২৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার ৯১০ টাকায়। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহে সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ৯২ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আর সার্বিক সূচক সিএসইএক্স কমেছে দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২০১ কোটি ৫২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৬ টাকা।
এসআই/এসকেডি/পিআর