রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ২৩ মে ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

এখনো থেমে থেমে চলছে দু’পক্ষের লড়াই। মঙ্গলবার (২৪ মে) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি গড়াচ্ছে চতুর্থ মাসে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দেশ দুটির টানা তিন মাসের লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। আধুনিক অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ সব অঞ্চল। জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের বহু নাগরিক।

কয়েক বার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও নিজ অবস্থানে অনড় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন পশ্চিমাদের সহযোগিতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরোধের মুখে কিয়েভ দখল করতে পারেনি রাশিয়া। তবে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করে রুশ সেনারা।

এদিকে, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটির অর্থনীততে ধস নামানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তারা। যদিও এসব নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা:

২৪ ফেব্রুয়ারি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো রাষ্ট্রের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা করে রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিক থেকে ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ সেনারা। আতঙ্কে কিয়েভ ছাড়েন হাজার হাজার ইউক্রেনীয়। পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপর শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।

২৫ ফেব্রুয়ারি

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই।

১ মার্চ

মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রায় ৬৫ কিমি একটি দীর্ঘ সামরিক বহর কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় আটকা পড়ে। কিয়েভের টিভি টাওয়ারে রুশ সেনার হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন মারা যান সেদিন। ইউক্রেনের সরকার জানায়, রুশ সেনাদের এ হামলার পর টাওয়ারের অনেক চ্যানেল অকেজো হয়ে পড়ে। একইদিনে দেশটির উত্তর-পূর্বের শহর খারকিভে হামলা জোরদার করে রাশিয়া।

২ মার্চ

রাশিয়ান বাহিনী মারিউপোলের দক্ষিণ-পূর্ব বন্দর অবরোধ করে সেদিন। মারিউপোলে ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর নিয়ন্ত্রণ নিলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডর তৈরি সম্ভব হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ডনবাস বলেন, তখন তিনি বোঝান ইউক্রেনের পুরোনো ইস্পাত ও কয়লা উৎপাদনকারী এলাকাটিকে। যার অর্থ দাঁড়ায় সমগ্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক মিলিয়ে একটি বড় অঞ্চল। প্রধানত রুশ-ভাষী এই এলাকাটিকে 'মুক্ত করার' কথা বার বার বলে আসছেন পুতিন। রাশিয়ান সেনারা খেরসনের কৃষ্ণ সাগর বন্দরের কেন্দ্রে পৌঁছে যায় সেদিন। প্রথম বড় কোন শহর দখল করে তারা। ওই দিনে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানায়, ১০ লাখের মতো মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে।

৪ মার্চ

রাশিয়ান বাহিনী ইউরোপের বৃহত্তম জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করে নেয় সেদিন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের আকাশসীমায় বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা (নো ফ্লাই জোন) ঘোষণা করতে ন্যাটোর প্রতি অনুরোধ জানান। এ নিয়ে ব্রাসেলসে বৈঠক করেন ন্যাটোর নেতারা। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা থেকে ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে গেলে ন্যাটো বাহিনীকে রুশ বিমান ভূপাতিত করতে হবে। এ পদক্ষেপের কারণে ইউরোপে পুরোদমে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। জেনস স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, ন্যাটো জোট হিসেবে ইউক্রেনের চেয়ে আমাদের বড় দায়িত্ব হলো এ যুদ্ধের বিস্তার ঠেকানো।

৮ মার্চ

দু’দেশের প্রতিনিধিদের সম্মতিতে প্রথম মানবিক করিডোর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি থেকে বেসামরিক লোকজন সরানো শুরু হয়। একইদিনে, ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে।

৯ মার্চ

ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে মারিউপোলের একটি মা ও শিশু হাসপাতালে বোমা হামলার অভিযোগ করে। ধ্বংসস্তূপে লোকজনকে পুঁতে ফেলার অভিযোগও করে তারা। অপরদিকে রাশিয়া জানায়, ইউক্রেনের যোদ্ধারা ভবনটি দখল করে রেখেছে।

jagonews24

১৩ মার্চ

রাশিয়া পশ্চিম ইউক্রেনে তার যুদ্ধ প্রসারিত করা শুরু করে। ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে ইয়াভোরিভের একটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী।

১৬ মার্চ

ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে মারিউপোল থিয়েটারে বোমা হামলার অভিযোগ করে যেখানে শত শত বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদিও মস্কো তা অস্বীকার করে।

২৫ মার্চ

মস্কো কিয়েভের বাইরে যুদ্ধ সরিয়ে নিতে শুরু করে এবং গুরুত্ব দেয় পূর্ব দিকে। পাল্টা প্রতিরোধ অব্যাহত রাখে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও।

৩০ মার্চ

ইউএনইউচসিআর জানায়, ইউক্রেন থেকে ৪০ লাখ লোক পালিয়েছে।

এপ্রিল ৩/৪

রাজধানী কিয়েভের কাছে পুনরুদ্ধার করা বুচা শহরে গণকবর ও গুলিবিদ্ধ মানুষের লাশ পাওয়ার ঘটনায় ইউক্রেন রাশিয়াকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে। যদিও ক্রেমলিন এ দায় অস্বীকার করে।

৮ এপ্রিল

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ক্রামতোর্স্কের একটি রেল স্টেশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এই হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত হন। ওই স্টেশন দিয়েই ইউক্রেনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল বলে জানা যায়। তবে রাশিয়া এই হামলার দায়ও অস্বীকার করে।

এপ্রিল ১৪

রুশ নৌবাহিনীর কৃষ্ণসাগর বহরের নেতৃত্বে থাকা যুদ্ধজাহাজ মস্কভা (মস্কো) ডুবে যায়। এর আগে বিস্ফোরণে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ইউক্রেনের দাবি, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল মস্কভায়।

এপ্রিল ১৮

রাশিয়া পূর্বাঞ্চলে হামলা শুরু করে সেদিন থেকে। হামলা প্রতিহত করা শুরু করেন ইউক্রেন সেনারাও। এটিকে ইউক্রেন ডনবাসের যুদ্ধ বলেও অভিহিত করা হয়।

এপ্রিল ২১

প্রায় দুই মাস অবরোধের পর পুতিন সরকার মারিউপোলকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করেন। শত শত ইউক্রেনীয় সেনা শহরের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় আটকা পড়েন।

এপ্রিল ২৫/২৬

রুশপন্থী ট্রান্সনিস্ট্রিয়া মলদোভার অংশ হলেও এটি দেশটির বিচ্ছিন্ন একটি অঞ্চল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পরপরই তারা মলদোভা থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। এতে সমর্থন দেয় রাশিয়া। এখনও বিচ্ছিন্ন ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় রাশিয়ার প্রভাব সর্বত্র। ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার রাজধানী তিরাসপোলে রুশ সেনাদের টার্গেট করে হামলা হয়। হামলায় রাশিয়ান রেডিও স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়া।

এপ্রিল ২৮

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সফরের সময় রাশিয়া কিয়েভে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে ইউক্রেন।অপরদিকে, ক্রেমলিন ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করে যে তারা সীমান্তের কাছে রুশ অঞ্চল বেলগোরোদে হামলা চালিয়েছে।

১ মে

জাতিসংঘের সহযোগিতায় মারিউপোলের ধ্বংসপ্রাপ্ত আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা থেকে প্রায় একশ ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়।

৭ মে

দেশটির এক আঞ্চলিক গভর্নর পূর্ব ইউক্রেনের বিলোহোরিভকা শহরের একটি গ্রামের স্কুলে বোমা হামলায় ৬০ জন নিহত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন।

৯ মে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় দিবসের ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ দরকারি এবং ‘সময়োচিত’ ছিল বলে দাবি করেন। এটি একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, সার্বভৌম রাষ্ট্রের ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পুতিন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ন্যাটো ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চলছিল। তিনি বলেন ‘রাশিয়া একটি ন্যায্য আপসের জন্য ইউরোপকে আহ্বান জানিয়েছিল, কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। বরং তারা ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাসে একটি শাস্তিমূলক অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এখন রাশিয়া সেখানে অভিযান চালাচ্ছে,’ ।

১০ মে

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানায়, রাশিয়ার হাত থেকে খারকিভের উত্তর ও উত্তর-পূর্বের গ্রামগুলো পুনরুদ্ধার করেছে তারা।

১২ মে

৬০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে বলে জানায় ইউএনএইচসিআর।

১৪ মে

ইউক্রেনের এক আঞ্চলিক গভর্নর জানান, ইউক্রেনের বাহিনী পূর্ব রুশ-নিয়ন্ত্রিত শহর ইজিয়ামের কাছে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে।

jagonews24

১৮ মে

ন্যাটোতে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।

২০ মে

মারিউপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের শেষ দুর্গ আজভস্টালের পতন হয়েছে বলে দাবি করে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মারিউপোলে ইউক্রেনের সবশেষ সেনাও আত্মসমর্পণ করেছে। পাঁচদিনে সেখানে ২৪শ’র বেশি ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করে বলে দাবি করে রাশিয়া।

২১ মে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ৯৬৩ জন আমেরিকানের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ও হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানসহ আরও অনেকে।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং এই যুদ্ধ অস্থিরতা তৈরি করেছে বিশ্ববাজারে। অধিকাংশ দেশে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। যুদ্ধ পরিস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞার ডামাডোলে ইউক্রেন, রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে না পারায় খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে কয়েকটি দেশে। বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও সেই ক্ষোভ সহিংস রুপ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা

এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।