প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ায় চলছে ভোটগ্রহণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ২১ মে ২০২২

নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার এক কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয় দেশটিতে। এর আগে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০১৯ সালের পর এবার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ভোটযুদ্ধে নেমেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও লেবার নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ। ভোটের প্রচারণায় যে দুটি ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে সেগুলো হলো, জীবনযাত্রার ব্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন। যদিও এবার ভোটারদের মাঝে নেতাদের ব্যক্তিগত ইমেজও প্রাধান্য পেয়েছে।

বিভিন্ন জনমত জরিপে উঠে এসেছে যে, এবার সামান্য ব্যবধানে জয়ী হতে পারে লেবার দল। যদিও গত নির্বাচনে জনমত জরিপগুলো প্রায় ভুল প্রমাণিত হয়। দেশটির লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আবারও দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি হলেন জন হাওয়ার্ডের পর প্রথম নেতা, যিনি সম্পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। জন হাওয়ার্ড চারবার দেশটির নির্বাচনে জয়ী হন। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন স্কট মরিসন। তবে পরবর্তীতে পরিকল্পনায় ঘাটতি থাকা নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি। নিজ দলের সদস্য তো বটেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও তার সমালোচনা করেন। যদিও নিজের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন স্কট মরিসন এবং পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন।

Vote-3.jpg

অপরদিকে, স্কট মরিসনের প্রতিদ্বন্দ্বি আলবানিজ বলেছেন, রক্ষণশীল সরকার, যা প্রায় এক দশক ধরে তিনজন ভিন্ন নেতার অধীনে ক্ষমতায় রয়েছে এবং তারা যথেষ্ট সময়ও পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই প্রধানমন্ত্রী চার বছর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলছেন তাকে ভোট দিলে তিনি পাল্টে যাবেন। ‘ভালো, আপনারা যদি পরিবর্তন চান, তবে সরকার পরিবর্তন করুন।

‘নিরাপদ পরিবর্তন’ নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন আলবানিজ। তবে তার বিরুদ্ধে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকারও প্রচারণা চলছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। জয়ের জন্য ১৫১ আসনবিশিষ্ট প্রতিনিধি পরিষদে অন্তত ৭৬টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো দলকে। এখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করা হয়। যদি সেটি করতে ব্যর্থ হয় তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন প্রয়োজন হয় কিংবা ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করতে হবে।

এদিকে, ৭০ লাখের বেশি নাগরিক পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির ইলেক্টোরাল কমিশন।

সূত্র: বিবিসি, এএফপি

এসএনআর/টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।