গাড়ি-মোবাইলসহ বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করলো পাকিস্তান
চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে গাড়ি, মোবাইল ফোন, চকোলেটের মতো বেশ কিছু বিলাসবহুল ও অনাবশ্যক পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
এক টুইটে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের এ সিদ্ধান্তে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আমরা মিতব্যয়ী হবো এবং আর্থিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তিদের এ প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে হবে যাতে আমাদের মধ্যে কম সুবিধাপ্রাপ্তদের এ বোঝা বহন করতে না হয়, যা পিটিআই সরকার তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।
এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, ‘জরুরি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা’র আওতায় অনাবশ্যক বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
My decision to ban import of luxury items will save the country precious foreign exchange. We will practice austerity & financially stronger people must lead in this effort so that the less privileged among us do not have to bear this burden inflicted on them by the PTI govt.
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) May 19, 2022
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, দেশটিতে আমদানি নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, মোবাইল ফোন, শুকনো ফল, গৃহস্থালী জিনিসপত্র, ক্রোকারিজ, ব্যক্তিগত অস্ত্র, জুতা, ঘর সাজানোর উপকরণ, দরজা-জানালার ফ্রেম, সস, হিমায়িত মাংস, ফল, কার্পেট, টিস্যু পেপার, আসবাবপত্র, মেকআপ, চকোলেট, মিষ্টান্ন পণ্য, শ্যাম্পু, সানগ্লাস, সিগারেট, বাদ্যযন্ত্র প্রভৃতি।
মরিয়ম বলেন, এটি একটি জরুরি পরিস্থিতি। এ অবস্থায় পাকিস্তানিদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তিনি জানান, এ নিষেধাজ্ঞায় পাকিস্তানের প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার বেঁচে যাবে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যেসব আমদানি আদেশের ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে বা অর্থপ্রদান করা হয়েছে, সেগুলোর প্রক্রিয়া এগোবে। তবে নতুন করে আর কোনো এলসি খোলা যাবে না।
গত কয়েকদিন থেকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির মান কমেই চলেছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির মান প্রথমবার ২০০ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এক ডলার কিনতে এখন ২০০ দশমিক ২০ রুপি খরচ করতে হচ্ছে।
কেএএ/এমএস