রংপুরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হচ্ছে জাপার হরতাল
রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির (জাপা) সদস্য সচিব এস এম ইয়াসীরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ডাকা জেলা ও মহানগর জাপার দিনব্যাপী হরতাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতালে বন্ধ রয়েছে সকল দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদালত। স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।
আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছেন তারা।
সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ টিম নগরীতে টহল দেয়ার পাশাপশি বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীতে টহল অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন অলিগলি থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরের পায়রা চত্বরে সমবেত হতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
হরতালে রংপুরবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মহানগর জাপার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা জাগো নিউজকে বলেন, আজকের হরতালেই প্রমাণ করে দেয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রংপুরে কতটা জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় এরশাদ সমর্থিত আজকের এ হরতাল শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রংপুরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জাগো নিউজকে জানান, যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর মুন্সিপাড়ায় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে জাপা নেতা ইয়াসীর তার বাবার কবর জিয়ারত করতে যান। জিয়ারত শেষে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। তাকে গুরতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জিতু কবীর/এমজেড/আরআইপি