নামমাত্র মূল্যে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে


প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চেম্বারে চিকিৎসা নিতে  এক গাদা  ক্লিনিক্যাল ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ পাননি এমন রোগী খুঁজে পাওয়া এখন অনেকটা দুষ্কর। সাধারণ মানুষের ধারণা একজন চিকিৎসক তিনি ছোট-বড় যে মাপেরই হোন না কেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনো সেবা তিনি দেবেন না। তাই নিরুপায় রোগীরাদেরও এখন ব্যাপারটি গা সওয়া হয়ে গেছে!

তবে হৃতদরিদ্ররা এখনও কম খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে সরকারি হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে রোগীর চাপে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হয়। পাশাপাশি এক শ্রেণির অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী নানা টালবাহানায় কমিশনের লোভে  রোগীদের বাইরে ল্যাবরেটরিতে পাঠান।
 
এমন পরিস্থিতিতে সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে অত্যান্ত সুলভ মূল্যে বিভিন্ন ধরনের অর্ধশত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার সুখবর পাওয়া গেছে।

labtoriesজানা গেছে, মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের যে মাইক্রোবায়োজি ল্যাবরেটরিটি গত ৩০ বছর ধরে বন্ধ ছিল সেটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে সম্প্রতি চালু হয়েছে। নতুনভাবে চালু অত্যাধুনিক এ ল্যাবরেটরিতে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ইমিউনোলজি অ্যান্ড সিরোলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরিটি চালু করা হয়। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসখ্যানে দেখা গেছে, এ সময় মোট ৮৭৩ রোগী এ ল্যাবরেটরি থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালের যে পরিমাণ ফি নেয়া হয় এ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ তার চাইতে অনেক কম। নতুন করে চালুর পর ল্যাবরেটরিতে আয় হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

ইনস্টিটিউটের প্রবীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, এক সময় এ ল্যাবরেটরিটির ব্যাপক সুনাম ছিল। কিন্তু তিন দশক আগে হঠাৎ করে ল্যাবরেটরিটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ল্যাবরেটরিতে কর্মরত সাতজন ডাক্তার ও ৩০ টেকনিশয়ান প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েন। গত ৩০ বছর তারা ইনস্টিটিউটে অন্যান্য কাজে নিয়োজিত থাকলেও মূলত তাদের যা মূল কাজ ছিল তা করতে পারেননি।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. জাফরউল্ল্যা বুধবার বিকেলে জাগো নিউজকে জানান, প্রায় তিন দশক বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া ল্যাবরেটরিটি খুব অল্প সময়ে দরিদ্র রোগীদের ভরসাস্থল হয়ে উঠছে। তারা এখানে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে ৫০টিরও বেশী পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর চিকিৎসক ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ হয়েও অন্য কাজ করছিলেন তারা প্রকৃত ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন।  

এমইউ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।