হেরেই গেলো বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

১৮৮ রানের বিশাল টার্গেট। এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ইমরুল কায়েসকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ধাক্কাটা সামলে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন সৌম্য আর সাব্বির। তাতেও শেষ রক্ষা হলো না। এ দু’জনের ৬৭ রানের জুটি ভাঙার পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপও। সপ্তম উইকেটে দুই নতুন মুক্তার আলি আর নুরুল হাসান সোহানের ৩১ বলে ৪৯ রানের জুটি শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। হার এড়াতে পারেনি।

জিম্বাবুয়ের করা বিশাল এই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে থেমে গেছে ১৫৬ রানেই। ফলে তৃতীয় ম্যাচে এসে ৩১ রানে হার মানলো বাংলাদেশ। বৃথা গেলো সাব্বির রহমানের ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস কিংবা ১৭ বলে নুরুল হাসানের ৩০ রানও।

বড় রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলেই তেন্দাই চিসোরোর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তামিমের পরিবর্তে ইনিংস ওপেন করতে নামা ইমরুল কায়েস। ৩ বল খেলে মাত্র ১ রান করেছেন তিনি।

ইমরুল কায়েস আউট হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করছেন সৌম্য সরকার এবং সাব্বির রহমান। দু’জন মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের পালে জোরালো হাওয়া লাগিয়ে দেন। দ্রুত রান তুলছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তারওপর ডান হাতি-বাম হাতি কম্বিনেশন, পরিস্থিতি জটিল করে তুলছিল জিম্বাবুয়ের জন্য। যদিও, বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগেই জুটিতে ভাঙন ধরিয়ে দিলেন গ্রায়েম ক্রেমার।

অভিজ্ঞ এই স্পিনারের ওপর আস্থা রেখে বল তুলে দিয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। সে আস্থাটাই রাখলেন ক্রেমার। ২১ বলে ২৫ রান করা সৌম্যকে ফেরালেন তিনি অষ্টম ওভারের শেষ বলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ৬৯ রানে পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।

বাংলাদেশ দলের এই ওপেনারের আউট হওয়ার পর সাব্বির রহমানের সঙ্গে জুটি বাধেন অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নিজেকে টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে দাবি করা মোসাদ্দেকও আশার বেলুন ফোলাচ্ছেন বাংলাদেশের সমর্থকদের সামনে। যদিও সাব্বির রহমান সেটাকে আবার ফাটিয়ে দিলেন খুব দ্রুত। ২৩ রানের জুটি গড়ার পর আউট হয়ে গেলেন সাব্বির রহমানও। তার আগে ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

এরপর তরুণ মোসাদ্দেকের সঙ্গে জুটি বাধেন অভিজ্ঞ সাকিবল আল হাসান। কিন্তু সেটা মাত্র ৮ রানের জন্য। দলীয় ১০০ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলেন মোসাদ্দেক হোসেন। অভিষেক ম্যাচটাতে মাত্র ১৫ রান করে আউট হয়ে যান মোসাদ্দেক। এরপর সাকিব আল হাসানও আউট হলেন মাত্র ৩ রান করে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদক নামানো হয় ৬ নাম্বারে। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তণ হওয়ার কারণেই সম্ভবত মাহমুদুল্লাহও স্বচ্ছন্দ হলেন না। আউট হয়ে গেলেন মাত্র ৬ রান করে।

শেষ পর্যন্ত নুরুল হাসান আর মুক্তার আলি অপরাজিত থাকলেন ৪৯ রানের জুটি গড়ে। ১৭ বলে ৩০ রান করেন নুরুল হাসান সোহান এবং ১৫ বলে ১৯ রান করেন মুক্তার আলি। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন গ্রায়েম ক্রেমার, ২ উইকেট নেন সিকান্দার রাজা এবং বাকি উইকেটটি নেন তেন্দাই চিসোরো।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।