ভারতে পি কে হালদারের বিপুল অর্থের সন্ধান

জ্যোতির্ময় দত্ত জ্যোতির্ময় দত্ত , পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৪৩ এএম, ১৪ মে ২০২২
পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ইডি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার কাছে এই অর্থের সন্ধান মেলে।

শুক্রবার (১৩ মে) সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।

ইডি জানায়, প্রশান্ত হালদার নামে এক বাংলাদেশি হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারই সহযোগী সুকুমার মৃধা বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী।

jagonews24

এই সুকুমার মৃধার বাড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তার অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাছের ব্যবসার আড়ালে বিপুল সংখ্যক বেআইনি টাকার লেনদেন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সুকুমার মৃধার বিভিন্ন অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গেছে।

ইডি বলছে, সুকুমারের ব্যবসায় বাংলাদেশি প্রভাবশালী মহলের অর্থ খাটতো। এছাড়া কলকাতার একাধিক কাউন্সিলরসহ উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গেও সখ্যতা রয়েছে তার। পি কে হালদারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত ছিল তা তদন্ত করে দেখছে ইডি।

jagonews24

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি।

পি কে হালদার ছিলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

তাকে গ্রেফতার করতে এরই মধ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বসে নেই বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।

জেডএইচ/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।