ঠাকুরগাঁওয়ে প্রশাসনের মদদে লটারি ও হাউজি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় চলছে লটারি ও হাউজি। এতে লাখ লাখ টাকার মুনাফা লুটছে আয়োজকরা।
মঙ্গলবার রাত থেকে মছলন্দপুরে আনন্দ মেলায় চলছে হাউজি ও ১০ টাকার লটারি। মোটরসাইকেলসহ নানা লোভনীয় বাম্পার অফারে মেলায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ।
বুধবার হাউজি খেলায় জোড়া মোটরসাইকেল ও লটারিতে একটি মোটরসাইকেল বাম্পার ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকে পীরগঞ্জ ও এর আশপাশের উপজেলায় মাইকে প্রচার চলছে থ্রি হুইলারে করে। গত রাতে প্রথম দিন কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে হাউজি আসরে। এদিকে হাউজির পাশাপাশি অয়োজন করা হয়েছে ১০ টাকার মুক্তা লাকি লটারি। সারা দিন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ভ্যানগাড়ি যোগে টিকিট বিক্রি করে রাতে ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
মেলায় হাউজি ও লটারির বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জেগে ঘুমিয়ে থাকার মতো। বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলীর এই মেলা উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু মেলায় অবৈধ হাউজি ও লটারির আয়োজন এবং একটি যাত্রা গানের দল মেলা প্রাঙ্গনে বেশ কিছু দিন ধরে অপেক্ষায় থাকার খবর পেয়ে তিনি উদ্বোধন করতে আসেননি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী জাগো নিউজকে জানান, মেলার অনুমতির কাগজে হাউজি, জুয়া, লটারি ও যাত্রার আয়োজন করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। অথচ এসবের আয়োজন করা হয়েছে জেনে আমি উদ্বোধন করতে যাইনি। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে রুহিয়া মেলায় হাউজি বন্ধ করার কথা বলেছি। এসব আমার ভালো লাগে না। পরে এমপির অনুপস্থিতিতে থানার ওসি কে এম শওকত হোসেন মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলায় হাউজি ও লটারি বিষয়ে ওসি কে এম শওকত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আয়োজকরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। লটারির অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর হাউজি হলে দেখি কি করা যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। মেলায় র্যাফেল ড্র অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিটির সাথে কথা বলে বিষটি জানাতে পারবো।
রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/এমএস