ফেসবুকে মাদকবিরোধী প্রচারণা
বাংলাদেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী এক দর্শন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি সেক্টরে গতিশীলতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে অধিকতর উন্নত ও টেকসই সেবা প্রদান পদ্ধতির প্রবর্তনে দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অপরাধ কমাতে এবার ডিজিটাল প্রচারণায় নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। নিজস্ব ওয়েবসাইটের পাশাপাশি এবার ফেসবুক পেইজ খুলে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে অধিদফতরটি। শুধু প্রচারণা চালিয়েই থেমে থাকছেন না তারা, ফেসবুক পেইজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অভিযানও চালানো হচ্ছে।
২০১৫ সালের আগস্ট মাসে ‘Department of Narcotics Control’ নামে পেইজটি চালু করা হয়। ইতিমধ্যে ৩০০ জনের বেশি ব্যবহারকারী পেইজটিতে লাইক দিয়েছেন। তারা অধিদফতরের নিয়মিত কার্যাবলী, সম্মেলন, ও প্রচার-প্রচারণা দেখতে ও কমেন্ট করতে পারেন।
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসকে মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণার মাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন গাড়ীতে স্টিকার লাগিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র, পোস্টার ও স্টিকার বিতরণসহ নান কর্মসূচি তুলে ধরা হয় পেইজটিতে।
চলতি মাসে রাজধানী থেকে ৮৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আড়াই কেজি কোকেন উদ্ধারের মতো বড় বড় অর্জনগুলো তুলে ধরা হয় অধিদফতরের এই পেজটিতে। সঙ্গে থাকে উদ্ধারকৃত বস্তুর ছবি ও অভিযানে অংশ নেয়া সদস্যদের ছবি।
এছাড়াও পেইজটিতে ভিজিটর পোস্ট দেয়ার সুযোগ রেখেছে অধিদফতর। ভিজিটরদের দেয়া নানা প্রশ্নের উত্তর, তথ্য-উপাত্ত সরবরাহও করা হয়। এছাড়াও পেইজে সাধারণ মানুষ নানা ধরনের মাদক সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে থাকে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেও অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
অধিদফতরের সাম্প্রতিক সকল প্রকার সম্মেলন, আলোচনা সভা ও মিটিংয়ের দিন-তারিখ ও আলোচ্যবিষয় তুলে ধরা হয় পেইজটিতে। পাশাপাশি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরা হয় পেইজের পোস্টে। পোস্ট করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিগুলো।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। জাহিদুল ইসলাম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কি কাজ করে তা অনেকেই জানে না। ফেসবুক সবার হাতের নাগালে তাই এর মাধ্যমে তাদের কাজগুলো আমরা জানতে পারি।
জাহাঙ্গীর সোপান নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফেসবুক হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে আসার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। অনেকেই মাদক সংক্রান্ত অপরাধসমূহ সম্পর্কে অনেক তথ্য জানে। তবে ভয়ভীতির কারণে পুলিশকে তথ্য দেয় না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা ফেসবুকে তথ্য দিতে পারবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের অনেক কাজ মিডিয়াতে আসে না। ফেসবুক পেইজের কল্যাণে সব শ্রেণির মানুষ আমাদের সম্পর্কে জানবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের কাজের উৎসাহ অনেকাংশে বেড়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পেইজটিতে যুক্ত হতে চাইলে www.facebook.com/Department-of-Narcotics-Control
এআর/এআরএস/পিআর