ভোর হলেই শুরু অস্ট্রেলিয়ান ওপেন লড়াই


প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত দু’জনই। অথচ দু’জনেরই প্রাক-টুর্নামেন্ট প্রস্তুতিতে চোটের ছায়া ছিল। তাই কতটা ফিট হয়ে নামতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তা নিয়ে ভক্তকূল শঙ্কায়। সে সব উড়িয়ে দু’জনেই জানিয়ে দিচ্ছেন মেলবোর্ন পার্কে নামতে তৈরি। তারা হলেন সেরেনা উইলিয়ামস ও মারিয়া শারাপোভা।

একইভাবে তৈরি পুরুষ এককের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ, ফেভারিট রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, স্টানিস্লাস ভাভরিঙ্কা কিংবা অ্যান্ডি মারেরাও। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম বলে কথা। কে না চায় শুরুটা ভালো হোক। সুতরাং, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বিশ্বের সেরা সেরা টেনিস তারকারা।

আগামীকাল (সোমবার) ভোর না হতেই মেলবোর্ন পার্কে শুরু হয়ে যাবে বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের লড়াই। মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত। সেই মঞ্চ মাতাতে ইতিমধ্যেই মেলবোর্ন পৌঁছে গেছেন টেনিস তারকারা। আর তাবৎ বিশ্বের টেনিসপ্রেমীদেরও নজর এখন মেলবোর্ন পার্কের ওপর স্থির নিবদ্ধ।

২০০৮ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন শারাপোভাকে নিয়ে অবশ্য সপ্তাহ দু’য়েক আগেই সমর্থকদের মধ্যে প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বাঁ-হাতে অস্বস্তির জন্য যখন তিনি ব্রিসবেন ওপেন থেকে সরে দাঁড়ান। এই টুর্নামেন্টেই গত বার শিরোপা জিতেছিলেন মাশা। তার চেয়েও বড় কথা, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে এই বাঁ-হাতে চোটের সমস্যা তাকে ভোগাচ্ছিল।

"
তবে ভক্তদের আশঙ্কা দূর করে দিলেন শনিবার বিশ্বের পঞ্চম বাছাই। তিনি বলছেন, গতবার মেলবোর্ন পার্কে রানার্স হিসেবে শেষ করার রেকর্ডটা এবার আরও উন্নত করাটাই এখন তার টার্গেট, ‘যখন চেয়েছিলাম তার চেয়ে কিছুটা আগেই মেলবোর্নে চলে এসেছি। তাতে এ সপ্তাহে এখানে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পেয়েছি। প্রচুর কোর্টে প্র্যাকটিস করে দারুণ লাগছে।’

সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘সব সময়ই আমি প্র্যাকটিসকে ভীষণ গুরুত্ব দিয়েছি। তাই নিজের উপর একটা বিশ্বাস রয়েছে যে হয়তো ব্রিসবেনে (প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট) পাঁচটা ম্যাচ খেলতে পারিনি; কিন্তু যেভাবে প্র্যাকটিস করেছি তাতে মেলবোর্নে আমি লড়াই করার মতো জায়গায় রয়েছি।’

একই রকম আত্মবিশ্বাসী সেরেনাও। যিনি এবার সাত নম্বর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জেতার টার্গেট নিয়ে নামবেন। তবে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হপম্যান কাপের মাঝামাঝি যিনি হাঁটুর চোটের জন্য সরে দাঁড়িয়েছিলেন। একশো শতাংশ ফিটনেস নিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারছেন কি-না জানতে চাইলে গত বারের চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘একশো কুড়ি-তিরিশ শতাংশ দিচ্ছি প্র্যাকটিসে। এ সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। এ দিন কিছুটা আরাম করতে চেয়েছিলাম। তবে আমার কাছে আরাম মানে দু’ঘণ্টার প্রবল শারীরিক কসরৎ। হাঁটুর অবস্থা এখন অনেক ভাল। কোনও সমস্যা এখন নেই।’

"
নিজের প্রস্তুতি নিয়ে সেরেনা আরও বলেন, ‘চেয়েছিলাম প্রস্তুতি ম্যাচে নামতে, সেটা হয়নি। তবে এত বছর খেলার পর এ ব্যাপারটা (প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই টুর্নামেন্টে নামা) সামলাতে পারব বলেই মনে হয়।’

তবে যতই নিজের প্রস্তুতি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হোন না কেন, প্রথম ম্যাচে নামার আগে কিছুটা সতর্ক মাশা। এবার যিনি জাপানের নাও হিবিনোর বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অভিযান শুরু করবেন। ‘গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। বিশেষ করে এমন এক জন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে যার বিরুদ্ধে এর আগে আমি কখনও খেলিনি। এমন পরিস্থিতিতে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। দ্রুত সমস্যার সমাধানের ব্যাপারটাও থাকে।’

গত বার ফাইনালে মাশার ঘাতক, মার্কিন তারকা অবশ্য অন্য কথা বললেন, ‘আমার জন্য কঠিন ড্র-ই অপেক্ষা করে বেশির ভাগ সময়। তাই এটা কোনও ব্যাপার নয়। আমি এসব ভাবি না। কার বিরুদ্ধে খেলতে হবে সেটা বড় কথা নয়। একটা সময়ে সবার বিরুদ্ধেই আপনাকে খেলতে হয়। এ ভাবেই এটা ভাবি।’

আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।