ক্ষমতায় ফিরতে প্রবাসীদের কাছে অনুদান চাইলেন ইমরান খান
তথাকথিত ‘বিদেশি-মদতপুষ্ট’ শাহবাজ শরিফের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছে অনুদান চাইলেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অর্থসংগ্রহে নতুন ওয়েবসাইট চালু করেছেন তিনি। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) এক ভিডিওবার্তায় প্রবাসীদের কাছে এ অনুরোধ জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া ভিডিওবার্তায় ইমরান খান জানান, শাহবাজ সরকারের পতন ও নতুন নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। এ জন্য নামঞ্জুর ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করছে পিটিআই।
ইমরান তার এ প্রচারণার নাম দিয়েছেন ‘হাকিকি-আজাদি’। বলেছেন, পাকিস্তানের ২২ কোটি মানুষের ওপর একটি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পাকিস্তানি জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশ কে চালাবে- পিটিআই নাকি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত শরিফ পরিবার’, যিনি তিন বছর জেল খেটেছেন এবং যার বিরুদ্ধে এখনো দুর্নীতির মামলা চলছে।
بیرونِ ملک مقیم اپنے پاکستانیوں کے نام میرا پیغام! pic.twitter.com/dAaiXXFJ3e
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) April 15, 2022
ক্ষমতা হারানোয় এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় বসেছেন শাহবাজ শরিফ। এ অবস্থায় দেশটিতে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইমরান, যেন পাকিস্তানি ভোটাররা তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা নাটকীয়তার পর গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জোটের কিছু সদস্য পক্ষ পরিবর্তন করায় মাত্র তিন ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার হাতছাড়া হয় তার। এমন পরিণতির জন্য আগে রেখেঢেকে করলেও এখন সোজাসুজি যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছেন ইমরান।
Thank you to all Pakistanis for their amazing outpouring of support & emotions to protest against US-backed regime change abetted by local Mir Jafars to bring into power a coterie of pliable crooks all out on bail. Shows Pakistanis at home & abroad have emphatically rejected this
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) April 10, 2022
পিটিআই নেতা শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ। একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্রের) ‘হুমকির চিঠির’ সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইমরানবিরোধী দলগুলো এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এ নিয়ে একই কথা বলেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও।
গত ১৪ এপ্রিল দেশটির আইএসপিআর ডিজি বলেছেন, গত মাসে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটি ছিল না। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সেটা বলতে পারবো না। তবে ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি।
সূত্র: এএনআই, ডন
কেএএ/এমএস