রাজনীতি ছাড়তে রাজাপাকসে পরিবারের ওপর চাপ বাড়ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২২
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধরা রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে; ছবি সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমাবেশ করছে। তারা শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবি অব্যাহত রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, রাজাপাকসে বা তার পরিবারের কেউ দেশের বর্তমান এই তীব্র অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না।

শনিবার (৯ এপ্রিল) কলম্বোর ওয়াটারফ্রন্টের গলে ফেস গ্রিনে ছাত্র, শিক্ষক, আইনজীবী, অভিনেতা ও স্থপতিদের অনেকেই প্রথমবারের মতো এই প্রতিবাদে শামিল হন। বিক্ষোভ চলাকালীন তারা প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকে উন্মাদ গোতা (গোতাবায়ার ডাকনাম) ও গো হোম গোতা (বাড়ি ফিরে যাও গোতা) বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার পতাকা নাড়ছিলেন। তাদের সিংহলি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ আর নয় এবং রাজাপাকসে পরিবার থেকে শ্রীলঙ্কাকে বাঁচান।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২৯ বছর বয়সী বুদ্ধি করুণাত্নে বলেন, আন্দোলন করো নয়তো মরো-এই মুহূর্তে আমরা এমন অবস্থানে আছি। তিনি পেশায় একজন বিজ্ঞাপননির্মাতা।

তিনি আরও বলেন, প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক ও সামাজিক সব শ্রেণিপেশার মানুষ একত্রিত হয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করছে। একই সঙ্গে এই আর্থ-সামাজিক সংকট সমাধানে সক্ষম এমন কারও কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করছে তারা।

২০১৯ সালে ৭২ বছর বয়সী রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট পদে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। তার দল এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে রাজাপাকসে তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সাহস পান। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সুসংহত করতে সংবিধান সংশোধন করারও স্পর্ধা দেখান।

এরপর তিনি তার মন্ত্রিসভায় রাজাপাকসে পরিবারের আরও তিন সদস্যকে অর্থ, কৃষি ও ক্রীড়া দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসিয়েছেন। ফলে সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় রাজাপাকসে পরিবারের হাতেই।

এমপি/টিটিএন/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।