বুড়িগঙ্গার দূষণ এখনো বন্ধ হয়নি
বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করার জন্য গত ৩০ বছর ধরে বলা হলেও এখনো দূষণ বন্ধ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, হাজারীবাগের ট্যানারি, বুড়িগঙ্গার দূষণ এবং জলাশয়, খাল দখল করে গড়ে ওঠা আবাসনই বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ।
রেহমান সোবহান বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করা থেকে সরে এলেও শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব বাজেট থেকে টাকা বরাদ্দ দিয়ে পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছেন। পদ্মাসেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু তহবিলে অর্থ না দিলে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে কি না, তিনি সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বিশিষ্টি এই অর্থনীতিবিদ বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানো নিয়ে আরেকটি নাটক আমরা দেখেছি। ট্যানারিগুলো তাদের বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না।
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান সিপিডি ছাড়া দেশের জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, কূটনৈতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রশ্নোত্তরপর্বে অংশ নেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নলেজ নেটওয়ার্কের নির্বাহী প্রধান সাইমন ম্যাক্সুয়েলও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য সঠিক নেতৃত্ব, সঠিক নীতি প্রণয়ন ও তার সঠিক বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বিশ্বের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এ তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে সাইমন জলবায়ু সম্মেলনকে সফল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এতে অন্তত বিশ্বের ১৮৫টি দেশ তার কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। তবে তা কতটুকু সফল হবে, তা রাষ্ট্রগুলোর সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করবে।
এএম/এসকেডি/পিআর