উপকূলে পাখি গুণছে জলচর
ভোলার উপকূলে শুক্রবার সকাল থেকে ৭দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক জলচর-পাখি গণনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব (বিবিসি), নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকন), প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এ শুমারীর আয়োজন করে।
নয় সদস্যের টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন বন্যপ্রাণি গবেষক ও পাখি রিংগার সামিউল মোহসেনিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান, ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, সানিকার রহমান রাহুল, এসআই সোহেল, সাইফুল ইসলাম, শুভ সাহা, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের শিহাব খালেদীন এবং বিল্লাল হাওলাদার।
২২ জানুয়ারি এ গণনার কাজ শেষ হবে। সকালে ঘনকুয়াশার মধ্যেই ট্রলারে যোগে গণনা কাজে নামেন গবেষকরা। ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর খেয়াঘাট থেকে যাত্রা শুরু হয়। ভোলা, লক্ষীপুর, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় পাখি-সমৃদ্ধ ৩০টি চরে ৭দিনব্যাপী এ জলচর-পাখি গণনার কাজ চলবে বলে জানান টিম লিডার।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ভোলার টেংরার চর, গারুরিয়া, মনপুরার বাসনভাঙা, চরনিজাম, হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ, চর-বারি, দমার-চর, চরফ্যাশনের চর-শাহজালাল ও ঢাল-চরসহ উল্লেখযোগ্য ২১টি চরকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জলাশয়ের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য জানুয়ারি মাসের ২য় ও ৩য় সপ্তাহে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জলচর-পাখি গণনা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ভোলাসহ উপকূলে জলচর পাখি গণনার কাজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়।
ওয়েটল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ গণনার উপাত্তসমূহ বই অাকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। পাখি পর্যবেক্ষকদের মতে বিশ্বের “মহাবিপন্ন” পাখি চামচঠুঁট-বাটান এবং সংকটাপন্ন পাখি দেশি গাঙচষা, বড় নট ও বড়গুটি ঈগল ছাড়াও অনেক প্রজাতির হাঁস ও সৈকতপাখি শীতে ভোলাসহ উপকূলের চরাঞ্চলে এসে বসবাস করে। এমন ৬৫ ভাগ পাখি ভোলা অঞ্চলে দেখা যায়।
অমিতাভ অপু/এমএএস/এমএস