যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বিবেচনা করছে ইসরায়েল ও হামাস


প্রকাশিত: ০৫:৪৯ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৪

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক ইসলামী সংগঠন হামাস মিসরের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বিবেচনা করছে।সোমবার সন্ধ্যায় মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়ার মাধ্যমে এক সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলি বিমান হামলা ও হামাসের রকেট হামলার তীব্রতা কমাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

গত এক সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে দেশটির ভূখণ্ডে গাজা থেকে নিক্ষেপ করা শতাধিক রকেট আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।

গাজায় সম্ভাব্য স্থল হামলা চালানার প্রস্তুতি নিতে থাকা সরকারি একজন কর্মকর্তা মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান। অন্যদিকে হামাসও যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে।

কায়রোতে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে যুদ্ধবিরতির নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রস্তাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার বাসিন্দা ও মালামাল পরিবহণের জন্য গাজার সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

আলোচনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পাবে বলে মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তাদের এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সফল হবে বলে আশা করেছেন মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাষ্ট্রদূত বদর আবদেলাত্তি।
মঙ্গলবারের এই আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা।

এদিকে, কায়রোর এই আলোচনায় অংশগ্রহণের আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিপরিষদ জরুরি বৈঠক করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।