দ্বিতীয়পর্বে ১৬ জেলার মুসল্লির অংশগ্রহণ
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় মুসুল্লিদের অংশ নেয়ার জন্য জেলাওয়ারি পুরো প্যান্ডেলকে ২৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এতে ১৬টি জেলার মুসুল্লি অংশ নেবেন। খিত্তা অনুযায়ী এসব জেলা হচ্ছে, ১নং থেকে ৭নং খিত্তায় ঢাকা জেলার বাকি এলাকা, ৮নং খিত্তায় ঝিনাইদহ, ৯ ও ১১নং খিত্তায় জামালপুর, ১০নং খিত্তায় ফরিদপুর, ১২ ও ১৩ নং খিত্তায় নেত্রকানা, ১৪ ও ১৫নং খিত্তায় নরসিংদী, ১৬ ও ১৮নং খিত্তায় কুমিল্লা, ১৭নং খিত্তায় কুড়িগ্রাম, ১৯ ও ২০নং খিত্তায় রাজশাহী, ২১নং খিত্তায় ফেনী, ২২নং খিত্তায় ঠাকুরগাঁও, ২৩নং খিত্তায় সুনামগঞ্জ, ২৪ ও ২৫নং খিত্তায় বগুড়া, ২৬ ও ২৭নং খিত্তায় খুলনা, ২৮নং খিত্তায় চুয়াডাঙ্গা এবং ২৯নং খিত্তায় পিরোজপুর জেলা।
এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ইজতেমা ময়দানের উত্তর পার্শ্বে নিউ মন্নু কটন মিলের অভ্যন্তরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন আমেরিকা, তুরস্ক, ইরাক, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্থান, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৯৬টি দেশের ৬ হাজার ৩১৮ জন মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। আগামী দুই দিনে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের জন্য মোট ৩টি ট্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
দেশি-বিদেশি সকল মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে। এছাড়া রাস্তাঘাট, ব্যস্ততম এলাকাসহ পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। ৫টি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে পুরো ইজতেমা ময়দানকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ-র্যাবের নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমা এবারও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৭ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫১তম বিশ্ব ইজতেমা।
আমিনুল ইসলাম/ এমএএস/এমএস