পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে হাজতে শিক্ষার্থী


প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য অন্যের হয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে আশরাফুল ইসলাম নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে জেলে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ‘সি’ ইউনিটের মৌখিক পরীক্ষা দিতে গেলে প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে তার চেহারা সঙ্গে মিল না থাকায় তাকে ধরা হয়।

পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত শিক্ষকরা তাকে আটক করে প্রক্টরের কাছে হস্থান্তর করেন। পরে প্রক্টর তাকে ইবি থানায় হস্থান্তর করে বলে জানা গেছে।

ইউনিট সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ অনার্স (সম্মান) শ্রেণির ‘সি’ ইউনিটের মৌখিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে এক কলেজ শিক্ষার্থী আটক হয়েছেন। ‘সি’ ইউনিটে দ্বিতীয় শিফটে তার রোল ১০৯১০।

আটক আশরাফুল ইসলাম বন্ধু মাহফুজ আরাফাতের হয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত শিক্ষকরা প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। ‘সি’ ইউনিটের সম্বন্বয়কারী আসাদুজ্জামান বাদল তাকে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করেন।

পরে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান তাকে জিজ্ঞাসবাদ শেষে ইবি থানায় সোপর্দ করেন। আটক কলেজ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম।

জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রক্সি দেয়ার রহস্য। মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া মাহফুজ আরাফাত বিয়ের দাওয়াতে মাদারীপুর গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌফিকুর রহমান হিটলারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে হিটলার টাকার বিনিময়ে আটক আশরাফুল ইসলামকে দিয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেয়ানোর চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজজেক জানান, প্রক্সির দায়ে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছি।

এ বিষয়ে ইবি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা করেনি। তাকে থানায় রাখা হয়েছে।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।