জামদানি শাড়ি কিনতে ত্রিপুরায় বাংলাদেশি স্টলে ভিড়

মৃণাল কান্তি দেবনাথ মৃণাল কান্তি দেবনাথ , ত্রিপুরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২২

কাতান, সিল্ক, মসলিনের চাহিদা তো রয়েছেই। তার ওপর জামদানি হলে তো কথাই নেই। নারীদের আবদারের কাছে এক নিমেষেই যেনো গাঁটের কড়িকেও খাটো করে দেখতে বাধ্য করা হচ্ছে পুরুষদের। হাজার হাজার টাকা খরচ করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ৩২তম শিল্প ও বাণিজ্য মেলার শেষ দিনে অসংখ্য বাংলাদেশি শাড়ি কেনেন নারীরা।

বাংলাদেশের আরিয়ান জামদানি উইভিং ফ্যাক্টরি, নদিয়া জামদানি উইভিং ফ্যাক্টরি, সুফিয়া জামদানি উইভিং ফ্যাক্টরি, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ঢাকার মৌসুমি জামদানি হাউজের শাড়িগুলো মেলার প্রথম দিন থেকেই নজর কাড়ে নারীদের। সেই অনুযায়ী বিক্রিও হয়েছে মোটামুটি ভালোই। তবে শেষ দিনে বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।

রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ঢাকার মৌসুমি জামদানি হাউজের পক্ষে এক বিক্রেতা জানান, দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৮ হাজার টাকা দামের জামদানি শাড়িও রয়েছে তাদের কাছে। অন্যান্য শাড়ির ক্ষেত্রেও মোটামুটিভাবে এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা দামের শাড়ি রয়েছে।

একই অবস্থা এশিয়া ৯৯ এন্ড এক্সক্লুসিভ বাংলাদেশ নামে পুরুষদের একটি পোশাকের স্টলেও। বিশেষ করে তরুণরা এই স্টলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। নানা রকমের জিন্স প্যান্ট থেকে শুরু করে টি-শার্ট ও পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও বেশ ভালোই বিক্রি হয়। তবে আগের তুলনায় তেমন ক্রেতা মিলছে না বলেও জানিয়েছেন স্টল কর্তৃপক্ষ।

মেলায় মোট ২৪৯টি স্টলের মধ্যে সরকারি স্টল ৮৪টি। এছাড়া অন্য রাজ্য থেকে আগত স্টলের সংখ্যা ৬০টি। স্থানীয় স্টলের সংখ্যা ৯০টি ও ১৫টি বিদেশি স্টলও রয়েছে। যার সবকটিই ছিল বাংলাদেশের। উইভিং ফ্যাক্টরিগুলো ছাড়াও ছিল প্রাণ বেভারেজের রকমারি আয়োজনের স্টল।

১১২ টাকা বর্গফুট দরে মোট ৬০০ বর্গফুটের বেশ বড় স্টল নিয়ে বসে প্রাণ বেভারেজ। নানা রকমের চকলেট, ফ্রুটি ও বিস্কুটের আয়োজন থাকে তাদের স্টলে। এর মধ্যে বিস্কুটের চাহিদাই ছিল বেশি। অনেক ক্ষেত্রে ফ্রুটিও কম যায়নি।

বাংলাদেশের এই স্টলগুলো ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উৎপাদিত বেশকিছু বাঁশ-বেতের সামগ্রীও এ বছর বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় গ্লাস, পানির বোতল, চেয়ার, টেবিলসহ মেয়েদের হাত ব্যাগেরও ব্যাপক চাহিদা দেখা গেছে। তুলনামূলকভাবে এদের দামও অনেকটাই কম।

মেলায় স্থানীয় স্টলগুলোর মধ্যে রকমারি আসবাবপত্রের দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়তে দেখা গেছে শেষ বেলায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেনার আগ্রহ ছিল কম। বিক্রি তেমন না হলেও এক্ষেত্রে ভ্রুক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। তারা জানান, ইচ্ছে থাকলে পরবর্তী সময়ে একই জিনিস ক্রয় করতে গেলে খোঁজ নিতে হবে তাদের শোরুমেই।

এমএসএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।