সীমান্ত খুলছে নিউজিল্যান্ড
আগামী মাসেই সীমান্ত খুলে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছরের বেশি সময় ধরে লকডাউন জারি ছিল। অবশেষে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য নিজেদের সীমান্ত খুলে দিচ্ছে দেশটি। খবর বিবিসির।
আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা কোন ধরনের কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন ছাড়াই নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০টি দেশের পূর্ণ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এমন ভ্রমণকারীরা আগামী ২ মে থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
সব ভ্রমণকারীকে ভ্রমণের সময় করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় ২০২০ সালের মার্চে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় নিউজিল্যান্ড। তারপর থেকে সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল। এর মধ্যে সীমিত আকারে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ট্রাভেল বাবল চালু হয়।
বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা অন্য যেতে এবং অন্য দেশ থেকে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এবং নিউজিল্যান্ড বিশ্বকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
কঠোর বিধিনিষেধ এবং লকডাউনের কারণে সংক্রমণের গতি রোধ করতে সক্ষম হয়েছে নিউজিল্যান্ড। এমনকি অনেক দেশের কাছেই তারা এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে আদর্শ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক ৯৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছে নিউজিল্যান্ড। মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে দেশটিতে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখনও গণসমাবেশে বিধিনিষেধ রয়েছে।
টিটিএন/এমএস