পশ্চিমাদের জ্বালানি সংকটে সুবিধাজনক অবস্থানে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে ইরান সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তাই ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু আলোচনায় তেহরানকে এর ফায়দা নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন ইরানের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা।

গত রোববার (১৩ মার্চ) ইরানি পার্লামেন্টে ২৯০ সদস্যের মধ্যে ১৬০ জনের সই করা একটি বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমাদের ‘বানোয়াট সময়সীমা’ মধ্যে তেহরানের আবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। বরং ভিয়েনা শান্তি আলোচনায় নিজেদের দাবিগুলোর পক্ষে চাপ দেওয়া উচিত।

ইরানি আইনপ্রণেতাদের মতে, ইউক্রেন সংকট যেহেতু পশ্চিমাদের কাছে ইরানি জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে, তাই ইরানের ‘ন্যায়সঙ্গত দাবি’ বিবেচনা না করে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা পূরণ করা উচিত হবে না।

তারা আরও দাবি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালের মতো আবারও পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার করবে না এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হবে, এর গ্যারান্টি দিতে হবে।

jagonews24

২০১৫ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সই হওয়া ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি পুনরুদ্ধারে ১১ মাস ধরে চলা আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় যেন ইরানের সঙ্গে তাদের ভবিষ্যৎ লেনদেন প্রভাবিত না হয়। তবে স্বাভাবিকভাবেই মস্কোর এই দাবির বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো। ফলে ভিয়েনা শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য গত শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রাশিয়ার দাবি ইরানের পরমাণু চুক্তি ভেস্তে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, রাশিয়ার এই দাবি ‘ভিত্তিহীন’ এবং তারা এটি মেনে নেবে না।

তবে ইরান রাশিয়াকে নয়, বরং চুক্তির অনিশ্চয়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দুষছে। তারা বলেছে, মার্কিন প্রশাসনের দাবি ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বিলম্বই আলোচনা স্থবির হওয়ার জন্য দায়ী।

২০১৬ সালে পরমাণু চুক্তি কার্যকরের পর ইরান দৈনিক ৪০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করতো, যার অর্ধেকই রপ্তানি করা হতো অন্য দেশগুলোতে। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে তেহরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইরান বর্তমানে প্রতিদিন মাত্র ২৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করছে।

সূত্র: আল জাজিরা

কেএএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।