দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষকরা : কর্মবিরতি অব্যাহত


প্রকাশিত: ০৪:৫৯ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলনের তৃতীয় দিনেও (১৩ জানুয়ারি, বুধবার) কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন। ফলে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তারা বলছেন, সরকার দাবি মানলেই ক্লাসে ফিরে যাবেন। অন্যদিকে শিক্ষকদের দাবি পূরণে উপায় খুঁজছেন শিক্ষামন্ত্রী।

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে পদমর্যাদা অবনমন ও বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ও কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হলেও বাকি ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। আন্দোলনের তৃতীয় দিনেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। তবে অচলাবস্থা নিরসনে আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছেন শিক্ষকরা। মর্যাদার প্রশ্নে চার দফা দাবি থেকে দুই দফায় নেমে এসেছেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সংগঠনের দুই নেতা লিখিতভাবে তা জানিয়ে দিয়েছেন। দুই প্রস্তাবের মধ্যে একটিতে শিক্ষক নেতারা বলেছেন, মোট সচিবদের মধ্য থেকে যে হারে সিনিয়র সচিব করা হয়েছে অধ্যাপকদের মধ্য থেকেও একই হারে সিনিয়র অধ্যাপক করতে হবে। উভয়ের মর্যাদা ও সুবিধা সমান করতে হবে।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অন্যান্য শিক্ষকের ক্ষেত্রে সপ্তম জাতীয় বেতন স্কেলের মতো সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখা সম্ভব না হলে অন্য কোনো উপায়ে একই মর্যাদা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে শিক্ষকদের মর্যাদা আগের মতোই অক্ষুণ্ন থাকে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এম এম মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের দাবিগুলো আবারো জানতে চেয়েছিলেন। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এগুলো না থাকলে আমরা কী ক্ষতির মুখে পড়ব তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। তবে আলোচনা চললেও আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমরা আমাদের মর্যাদার প্রশ্নে অনড় রয়েছি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, সমস্যা সমাধানে এক ধাপ এগিয়েছি আমরা। খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কিভাবে সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা এগোচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাইব যেন এমন একটি সন্তোষজনক সমাধান হয়, যেখানে আমাদের সম্মানিত শিক্ষকদের যেন সত্যিকার অর্থে সম্মান বজায় থাকে। একইসঙ্গে বেতন নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তারও যেন সমাধান হয়।

এনএম/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।