পাহাড় দেখতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
হোলির আগেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের পাহাড় ও ডুয়ার্স পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা। এরই মধ্যে অধিকাংশ হোটেলের বুকিং প্রায় শেষ। সব মিলিয়ে করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সেখানে ফিরছে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। এতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
করোনার কারণে লকডাউনে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তরাঞ্চলের পর্যটন শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও পাহাড়মুখী হতে শুরু করেছে পর্যটকরা।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের ওই অঞ্চলটি অনেকটা পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সেখানের কয়েক লাখ মানুষ। তবে গত দুইবছরের লকডাউনের কারণে এ শিল্পে বড় আঘাত এসেছে। ফলে অনেকে পেশাও পরিবর্তন করে ফেলেছেন। তবে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ও হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে পাহাড় ও ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বেড়েছে।
জানা গেছে, সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সের প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেলের বুকিং প্রায় শেষ। ভ্রমণের গাড়িও বুকিং হয়েছে। সব মিলিয়ে বসন্ত উৎসব ও দোলকে ঘিরে এক সপ্তাহের ছুটিকে কাজে লাগাতে পাহাড়ে যাচ্ছেন পর্যটকরা।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কন্সেরভেশন অব ট্যুরিজমের আহবায়ক রাজ বাসু বলেন, হোলিকে কেন্দ্র করে গোটা উত্তরাঞ্চলের পাহাড় ও ডুয়ার্স এলাকার সব হোমস্টে বুকিং হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে দোলকে ঘিরে বেশ জমজমাট পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
অন্যদিকে হিমালায়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে এই এক সপ্তাহের বুকিং সম্পূর্ণ হয়েছে। এর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের পর্যটন কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এমএসএম/জিকেএস