কিয়েভের দিকে যাচ্ছে রাশিয়ার ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সামরিক বহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, ০১ মার্চ ২০২২

অডিও শুনুন

রাশিয়ার একটি বিশাল সামরিক বহর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, সামরিক ওই বহরটি প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ। স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজি সম্প্রতি ওই ছবি প্রকাশ করেছে। খবর বিবিসির।

স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২০ মাইলের কম দূরত্বে অবস্থান করছেন রুশ সেনারা। তাদের সঙ্গে সামরিক যান, যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার বেলারুশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থান করছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী রাজধানী কিয়েভের উপর হামলা শুরু করেছে।

ওই বহরটিতে কয়েকশ সামরিক যান রয়েছে এবং তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরে ইভানকিভ শহরের কাছাকাছি আছে বলে জানিয়েছে ম্যাক্সার।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার ওই সামরিক বহরটিকে নিবিড় নজরদারিতে রেখেছে হোয়াইট হাউজ। বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, এত বড় সামরিক বহর নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবারও সংঘাত চলতে দেখা গেছে।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ডজনখানেক বেসামরিক নিহত হয়েছে। অপরদিকে রাজধানী কিয়েছে বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বেজে উঠেছে।

খারকিভে রাশিয়ার ক্রমাগত বোমা হামলার ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরেও ক্রমাগত গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনে বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের শক্ত প্রতিরোধের কারণে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না।

রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ এবং চেরনিহিভ শহরের নিয়ন্ত্রণ এখনও ইউক্রেনের হাতেই রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।

টিটিএন/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।