সৌদির বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার চেষ্টা, বাংলাদেশিসহ আহত ১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ফাইল ছবি

 

সৌদি আরবের আভা বিমানবন্দরে হামলাচেষ্টার সময় বিস্ফোরক-বোঝাই একটি ড্রোন ধ্বংস করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় ছিটকে আসা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারতসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির ইয়েমেন সীমান্তের কাছাকাছি আভা বিমানবন্দরে হামলাচেষ্টার সময় একটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন ধ্বংস করেছে সৌদির আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

এসময় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ বিমানবন্দরে ছিটকে পড়ে। এগুলোর আঘাতে দুই সৌদি নাগরিকসহ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের মোট ১২ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের কারও আঘাত গুরুতর নয়।

এক বিবৃতিতে সৌদি জোট জানিয়েছে, যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পর বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীরা প্রায়ই হামলা চালিয়ে থাকে। সেগুলোর বেশিরভাগই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও গত কয়েক বছরে এ ধরনের ঘটনায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ইয়েমেনে হুথি স্থাপনা লক্ষ্য করে তারা নিয়মিত বিমান হামলা চালায়। গত সাত বছরে সৌদি জোট ইয়েমেনে এ ধরনের অন্তত ২৪ হাজার হামলা চালিয়েছে।

জবাবে হুথি বিদ্রোহীরাও সৌদি আরব ও তাদের মিত্র সংযুক্ত আর আমিরাতে প্রায়ই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইরান তাদের সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাবে, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইয়েমেন যুদ্ধে প্রত্যক্ষ এবং ক্ষুধা ও রোগের মতো পরোক্ষ কারণে অন্তত ৩ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যাদের ৭০ ভাগই ছিল শিশু।

এই সংঘাতে ঘরছাড়া হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ধারণা, ইয়েমেনের তিন কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকের ঘরেই পর্যাপ্ত খাবার নেই।

কেএএ/

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।