ইউক্রেন সংকট: ইউরোপে এলএনজি সরবরাহ করবে জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ইউক্রেন সংকটের কারণে রাশিয়া যেকোনো সময় ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে। আর সে কারণে রাশিয়ার বিকল্প খুঁজতে মরিয়া ইউরোপের দেশগুলো। এই অঞ্চলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার ইউরোপে এলএনজি সরবরাহের পরিকল্পনা করছে জাপান। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকারি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবিতে ধরা পড়ে যে, ইউরোপের সমুদ্রপথে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) কনটেইনার ভর্তি জাহাজের ভিড় বেড়ে গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপ মহাদেশের সামুদ্রিক ঘাটে জ্বালানিবাহী জাহাজের সংখ্যা গতবছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।

ইউক্রেন সংকট: ইউরোপে এলএনজি সরবরাহ করবে জাপান

জাপান একটি প্রধান এলএনজি আমদানিকারক দেশ। ইউক্রেন সংকটের কারণে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহে বাধার হুমকির সম্মুখীন ইউরোপীয় দেশগুলোকে সহায়তা করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। তবে তার আগে দেশটি অভ্যন্তরীণ চাহিদার জন্য যথেষ্ট সরবরাহ সুরক্ষিত করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউক্রেন সংকট: ইউরোপে এলএনজি সরবরাহ করবে জাপান

রাশিয়া থেকে ৪০ শতাংশ এলএনজি আমদানি হয় ইউরোপে। নতুন করে ইউক্রেন সংকট তৈরি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে শীত মৌসুমে এলএনজির জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাপান সরকারের এলএনজি সরবরাহের এ পরিকল্পনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের প্রাকৃতিক গ্যাসের ১৭ শতাংশ উৎপাদন করে রাশিয়া। আর এই গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ইউরোপীয় দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য বলছে, ১৯৭০ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইউরোপ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি শুরু করে। সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে সেই নির্ভরতা আরও বেড়েছে। বছরে এখন ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে সরবরাহ করে রাশিয়া। কিন্তু রাশিয়া দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে প্রায় অর্ধেক গ্যাস সরবরাহ করে আসছে। ফলে অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে প্রায় ছয় বা সাত গুণ বেড়েছে।

সূত্র: নিক্কেই এশিয়া

এসএনআর/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।