বেইজিং অলিম্পিক: হোটেল কোয়ারেন্টাইনের পরিবেশ নিয়ে দলগুলোর উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির বিভিন্ন বিধিনিষেধের মধ্যেই শুরু হয়েছে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক-২০২২। এরই মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অনেক অ্যাথলেটই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর তাদের রাখা হয়েছে হোটেল কোয়ারেন্টাইনে। তবে সেখানে নেই পর্যাপ্ত খাবার, নেই কোনো প্রশিক্ষণের সরঞ্জাম। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাশিয়ান বায়াথলন প্রতিযোগী ভ্যালেরিয়া ভাসনেতসোভা বেইজিংয়ে কোয়ারেন্টাইন হোটেল থেকে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান, আমার পেট ব্যথা করছে ও চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে। আমি এই কষ্টের সমাপ্তি চাই। আমি প্রতি দিন কাঁদছি কারণ আমি খুবই ক্লান্ত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কোনো লক্ষণে তিনি এমন কষ্টের কথা জানাননি। চরম খাদ্যের অভাবেই এমন দুর্দশার মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে তাকে।

ভাসনেতসোভা বৃহস্পতিবার একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে একটি ট্রেতে তাকে পাঁচ দিনের জন্য প্লেইন পাস্তা, একটি কমলার সস, একটি হাড়ের ওপর পোড়া মাংস, কয়েকটি আলু দেওয়া হয়। এতে নেই কোনো সবুজ শাক-সবজি।

তিনি বলেন, পাস্তার কয়েক টুকরো খেয়ে বেঁচে আছি কারণ বাকিগুলো খাওয়া অসম্ভব। কিন্তু আজ আমি মাংসের পরিবর্তে তাদের পরিবেশন করা সব চর্বি খেয়েছি। কারণ আমি খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম। এরই মধ্যে তার ওজনও অনেক কমে গেছে।

jagonews24

নিয়ম অনুযায়ী যেসব অ্যাথলেটদের করোনা পজিটিভ হয়েছে তবে লক্ষণ নেই তাদের অবশ্যই নির্ধারিত হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। অন্যদিকে যাদের লক্ষণও রয়েছে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছে বিভিন্ন দল।

নর্ডিকের তিনবারের স্বর্ণপদক বিজয়ী এরিক ফ্রেনজেল করোনা পজেটিভ হওয়ার পর জার্মান প্রতিনিধি দলের প্রধান ডার্ক শিমেলপফেনিগ জীবনযাপনের পরিবেশ নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। জার্মানি আরও বড়, স্বাস্থ্যকর কক্ষ ও নিয়মিত খাবার সরবরাহ চায়। যাতে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়ে অ্যাথলেটরা খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার জন্য উপযুক্ত থাকে।

কয়েক দশকের মধ্যে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস। চীনে করোনা সম্পর্কিত কঠোর বিধিনিষেধ ও রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হলো আলোচিত এ গেমস।

বেইজিংই একমাত্র শহর যেটি গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন দুই অলিম্পিকেরই স্বাগতিক শহর হওয়ার মর্যাদা পেল। যেখানে অলিম্পিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে সেখানে বরফের যে ঢাল তার বেশিরভাগই মানুষের তৈরি।

ভেতরে যে বরফের প্রতিযোগিতার রিংক তৈরি করা হয়েছে, সেখানে বরফ যাতে না গলে তার জন্য হিমশীতল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১০৯টি আলাদা ইভেন্টে প্রতিযোগিতা করছেন প্রায় তিন হাজার অ্যাথলেট।

এমএসএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।