পুতিনকে এবার বরিস জনসনের হুঁশিয়ারি
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে ‘খাদের কিনারা’ থেকে সরে আসতে আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নিলে রুশ শাসকগোষ্ঠী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাজ্য। খবর রয়টার্সের।
ব্রিটিশ রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাইমন ক্লার্ক স্কাই নিউজকে বলেছেন, এটি স্পষ্ট যে, মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা তাদের ব্যবসা ও পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবো।
তবে ব্রিটিশ সরকারের এ হুমকিকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, এ ধরনের হুমকি ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশের পর এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বলা কথার প্রতিধ্বনি মাত্র।
তার কথায়, যুক্তরাজ্যের এ ধরনের হুমকি ‘খুবই বিরক্তিকর’। আর এ ধরনের বিবৃতি দেশটির বিনিয়োগ আকর্ষণের বিরোধী এবং এতে ঘুরেফিরে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রোস্তভ অঞ্চলে রুশ সেনাদের মহড়া। ছবি সংগৃহীত
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এর সাবেক সদস্য দেশগুলো থেকে বিপুল অর্থপ্রবাহের বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে লন্ডন। পুতিনবিরোধীরা বহুবার রুশ অর্থপ্রবাহের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তারপরও ইউরোপের বিলাসবহুল জায়গাগুলোতে রাশিয়ার শাসকগোষ্ঠী ও কর্মকর্তাদের অকাতরে অর্থব্যয় অব্যাহত রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিছুদিনের মধ্যে ইউক্রেন যাবেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন।
তার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সোমবার সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, আমি আগেও যা বলেছি, পুতিনকে সেটিই বলবো যে, আমার মনে হয় আমাদের সবার খাদের কিনারা থেকে পিছিয়ে আসা উচিত। আমার মনে হয়, রাশিয়ার পিছিয়ে আসা উচিত।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখলের পর রাশিয়ার অন্তত ১৮০ ব্যক্তি ও ৪৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে অন্তত ছয়জন পুতিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
কেএএ/এমএস