না.গঞ্জে ৩৬ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জে সোমবার ভোরে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে আবারো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
আর বছরের পর বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না ভাঙ্গার কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটলে ভবন ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে ৩৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালিকদের বার বার চিঠি দিয়ে তাগিদ দেয়ার পরও এসব ভবন ভাঙা হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্ন উঠেছে।
নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা সূত্র মতে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে শহরের টানবাজার, এসএম মালেহ রোড, মহিমা গাঙ্গুলী, গলাচিপা, নিতাইগঞ্জ, চাষাঢ়া, বিবি রোড এলাকায় এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অবস্থিত।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো- ১৫নং ওয়ার্ডের ৪৭নং মহিম গাঙ্গুলী রোড এলাকার উইলসন মার্কেট টানবাজার এলাকার সাইদুর রহমান ইদুর মালিকানাধীন পঞ্চম তলা ভবন। এ ভবনটির ফাউন্ডেশন ছিল তিন তলার। একই ওয়ার্ডের ২১নং এস এম মালেহ রোড টানবাজার এলাকার এমদাদুল হক ভূইয়ার ২ তলা ভবন, টানবাজার মথুয়া রায় রোড এলাকার দস্তগীর আহমেদ এর ২ তলা ভবন, ৩৪নং মহিম গাঙ্গুলী রোডের সাধনা ঔষধালয়ের ২ তলা ভবন, এস এম মালেহ রোডের সানাউল্লাহ মিয়ার ২ তলা ভবন।
এছাড়া ২১ নং এস এম মালেহ রোড এলাকার এমদাদুল হক ভূইয়ার ২ তলা ভবন, ১৬নং এম এম রায় রোড এলাকার আবুল কাশেম মিয়ার এক তলা ছাদবিহীন পরিত্যক্ত ভবন, ৩৭ নং এস এম মালেহ রোড টানবাজার এলাকার ফাতেমা বেগমের মালিকানাধীন ৩ তলা ভবন, ৩৩ মহিম গাঙ্গুলী আলী সুপার মার্কেট এলাকার মোহাম্মদ আলীর মালিকানাধীন ৩ তলা বিশিষ্ট পুরতান ভবন।
এছাড়াও ৩৫ নং মহিম গাঙ্গুলী রোড টানবাজার এলাকার এইচ এম ইউসুফ চারতলা বিশিষ্ট পুরাতন ভবন, এস এম মালেহ রোড এলাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (রাজস্ব) ২ তলা বিশিষ্ট ভবন, এস এম মালেহ রোড এলাকার শাহীন ভূইয়ার মালিকানাধীন ২ তলা ভবন, ২১ এস এম মালেহ রোড এলাকার মোমেনা খাতুনের মালিকানাধীন ৩ তলা ভবন, ২০নং এস এম মালেহ রোড এলাকার হাজী ছাত্তার ভূইয়ার মালিকানাধীন ২ তলা ভবন, নিতাইগঞ্জের ২৫ আর কে দাস রোড এলাকার ইলিয়াছ দেওয়ানের ২ তলা ভবন, নিতাইগঞ্জ বিকে দাস রোড এলাকার আবদুর রহিম ভূইয়ার তিনতলা বিশিষ্ট ভবন, ৩০ বিকে রোড এলাকার আবদুল কাইউম গং এর ২ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন, শাহসূজা রোড নিতাইগঞ্জ এলাকার একেএম লুৎফর এর মালিকানাধীন ২ তলা বিশিষ্ট ভবন, ৮ ওল্ড ব্যাংক রোড নিতাইগঞ্জ এলাকার মাইনুদ্দিন গং এর ২ তলা বিশিষ্ট ভবন, ৮ ওল্ড ট্যাংক রোড নিতাইগঞ্জের আবুল কাইউম এর মালিকানাধীন ২ তলা ভবন, ৩৬৭/২ ডিপি রোডে ফরিদ আহাম্মেদ ও সামুসজ্জোহা এর মালিকানাধীন হাকিম প্লাজা।
আরো রয়েছে, ২৫৮ ডিপি রোড এলাকার তাহমিনা খাতুনের মালিকানাধীন চার তলা ভবন, একই রোডের কামরুন্নেছা বেগমের মালিকানাধীন তিনতলা ভবন, রহিমা খাতুনের ২ তলা ভবন, সাহেরা খাতুনের ৩ তলা ভবন, নাসির মিয়ার চারতলা ভবন, ১৪ নং ওয়ার্ডের ১০৪ বিবি রোডের খাজা নাজমুল হুদা খন্দকারের মালিকানাধীন ২তলা ভবন, ১০৮ নং বিবি রোডের জিয়াউল হকের মালিকানাধীন একতলা ভবন, নিউ চাষাঢ়া জামতলায় হীরা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন আলী ইমামের মালিকানাধীন ২ তলা ভবন, শহরের গলাচিপা এলাকায় ২ তলা বিশিষ্ট বাংলাদেশ স্কাউটস ভবন, সনাতন পাল লেন ফকিরটোলা মসজিদ এলাকায় আবদুস সোবহানের মালিকানাধীন ৩ তলা ভবন, শহীদ সোহরাওর্দী সড়কের আলতাফউদ্দিন আহমেদ খন্দকারের মালিকানাধীন ২ তলা ভবন, তামাকপট্টি এলাকায় মহিউদ্দিন বেপরীর মালিকানাধীন ২ তলা ভবন, দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার উম্মে কুলসুমের মালিকানাধীন চার তলা ভবন, দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার জাহানারা বেগমের মালিকানাধীন ৩ তলা ভবন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তাদের তালিকা অনুযায়ী ভবন মালিকদের তালিকা দেয়া হয়েছে। অচিরেই এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো.শাহাদাত হোসেন/এমজেড/পিআর