কাজী আরেফের হত্যাকারীদের ফাঁসি রাতে কার্যকর


প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৬

যশোরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হবে বৃহস্পতিবার রাতে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও কুষ্টিয়ার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ নেতা হত্যা মামলায় এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে যাদের মত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে তারা হলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাফায়েত হোসেন, কুর্শা গ্রামের উম্মত মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও সিরাজ ওরফে আবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ওরফে আকবর।

ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়েছে বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে তিন আসামির ফাঁসির রায় কার্যকরে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আদালত ও কারাগার সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভায় চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নির্মমভাবে নিহত হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও সমশের মণ্ডল।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে সময় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত এ হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি ও ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করলে ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট আদালত ফাঁসির এক আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১০ জনের সাজা মওকুফ করে রায় দেন।

পরে সরকার পক্ষ (বাদী) সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে আদালত ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে রায় দেন। পরে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা সুপ্রিমকোর্টে রিভিউ করলে তাও ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্ট। কিন্তু এতদিনেও রায় কার্যকর হয়নি।

কারাগার সূত্র মতে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৯ জন ফাঁসির আসামির মধ্যে মান্নান মোল্লা, বাখের, রওশন, জাহানসহ পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে বন্দি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাফায়েত হোসেন, কুর্শা গ্রামের উম্মত মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও সিরাজ ওরফে আবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ওরফে আকবরকে বৃহস্পতিবার রাতের যেকোনো সময় ফাঁসি দেয়া হবে।

মিলন রহমান/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।