বিসিসি প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহকে আদালতে প্রেরণ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেএম শহীদুল্লাহকে (৪৯) তিন রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি বিদেশি পিস্তলসহ আটকের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি ১২নং ওয়ার্ড থেকে পর পর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কেএম শহিদুলাহ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
এর আগে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে র্যাব সদস্যরা কেএম শহীদুল্লাহকে কোতয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, র্যাব সদস্যরা কেএম শহীদুল্লাহর স্বীকারোক্তিনুযায়ী শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনের গেট সংলগ্ন তার নিজ বাসভবনের নিচ তলায় অবস্থিত ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে তিন রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। অস্ত্র এবং গুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাকে আটক করা হয়।
তবে শহিদুল্লাহর শ্যালক আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী লোক শহিদুল্লাহকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ সময় শহিদুল্লাহ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে র্যাব সদস্যরা পরিচয়পত্র দেখায়। এরপর শহিদুল্লাহকে গাড়িতে করে র্যাব কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। পেছনে র্যাবের একটি পিকআপও শহিদুল্লাহকে বহন করা গাড়িটি ফলো করতে থাকে।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, মাইক্রোবাস থেকে কেএম শহিদুল্লাহ তার মেয়ে সামন্তকে মোবাইল দিয়ে জানায় র্যাবের লোক তাকে তাদের কার্যালয় নিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সামন্তসহ পরিবারের সদস্যরা শহিদুল্লাহর খোঁজে র্যাব কার্যালয়ে গেলে তাদের জানানো হয় এই নামের কাউকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কর্যালয়ে নেয়া হয়নি। বিষয়টি শহিদুল্লাহর পরিবার থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবহিত করা হলে সাংবাদিকরা র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহিদুল্লাহকে নিয়ে তার বাসভবনে অভিযানে যায় র্যাব সদস্যরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে শহিদুল্লাহকে প্রাইভেটকারে তুলে আবার র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাইফ আমীন/এসএস/পিআর