আমি আত্মঘাতী মিশনে আছি


প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে হামলার দুই ঘণ্টা আগে একটি ফোনে আঁড়ি পেতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। হামলায় অংশ নেয়া এক সন্ত্রাসী তার মায়ের কাছে ফোন করেছিল বলে এনডিটিভি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

৭০ সেকেণ্ডের ওই ফোন কলটি করা হয় রাত ১টা ৫৮ মিনিটে। সে সময় ওই সন্ত্রাসীকে বলতে শোনা যায়, আমি আত্মঘাতী মিশনে আছি। অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া না পাওয়া যাওয়ায় আবারো বলতে শোনা যায়, আমি সুইসাইড মিশনে আছি এবং আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করবে।

এই ফোন কলের দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে চলা গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত সাত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে এখনো আরো এক সন্ত্রাসী ওই বিমানঘাঁটিতে আত্মগোপনে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, রাত সাড়ে ১২টা থেকে দুইটার মধ্যে ওই ফোন কলটি পাকিস্তানের কোনো একটি এলাকায় করা হয়েছিল। তিনি পাঞ্জাবি ও মুলতানি ভাষায় কথা বলছিলেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আরো তিনটি টেলি আলাপে সন্ত্রাসী হামলার ইঙ্গিত পেয়েছিল। দ্বিতীয় কলটির স্থায়ীত্ব ছিল ৮৭ সেকেণ্ড। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। তখন বলা হয় ‘হ্যাঁ’। পরে ওই সন্ত্রাসীকে বিমানঘাঁটিতে প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়। বলা হয়, বিমানবাহিনীর সম্পদ, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ও প্লেন সব উড়িয়ে দাও।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ফোনালাপের একটি বাক্য নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। ওই বাক্যে বলা হয়, তার কাছে এটি ব্যাখ্যা করো। আমরা উদ্বিগ্ন। প্রথম কলটি প্রায় এক মিনিটের। ফোনটি সীমান্তের ওপার থেকে করা হয়েছিল। এ সময় অন্তত তিনজন ফোনে কথা বলেন। তবে ফোনটি ঠিক কোন জায়গা থেকে করা হয়েছিল তা এখনো উদঘাটন করতে পারেনি ভারতীয় গোয়েন্দারা।

এছাড়া দ্বিতীয় ফোনটি করা হয় রাত ১২টা ৫২ মিনিটের দিকে। রোববার নতুন করে ওই বিমানঘাঁটিতে হামলার নির্দেশদাতার সঙ্গে ওই ফোন কলে কথা বলা হয়েছিল। ৩২ সেকেন্ডের ওই কলে দুজনকে হামলার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

এসআইএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।