বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার
বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। এ জন্য বিএসএফ জওয়ানদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ভারতের একটি দৈনিক পত্রিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উন্নত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে লং রেঞ্জ রিকনাইসেনস অ্যান্ড অবজারভেশন সিস্টেম বা এলআরআরওএস, হ্যান্ড হোল্ড থার্মাল ইমেজার, ব্যাটলফিল্ড সার্ভিলেন্স রেডার এবং নাইটভিসন গগলস এবং ক্যামেরা।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কর্তব্যরত সেনাকর্মীরা এই ধরনের প্রযুক্তি বহুদিন আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছেন। এবার বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারির কাজেও এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। প্রযুক্তির পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার নতুন ৬টি সীমান্ত চৌকি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে একটি ভাসমান চৌকি। যদিও বর্তমানে সুন্দরবনে সমশেরনগরে একটি ভাসমান সীমান্ত রয়েছে। মূলত নৌপথে চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্যই এই নয়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, স্থল সীমান্ত ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ১৫৪ কিলোমিটার নৌসীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে শুধু সুন্দরবনে ৬৪ কিলোমিটার নৌ-সীমানা। গোটা এলাকাতে দীর্ঘ দিন মূলত সাধারণ দুরবীন দিয়ে সীমান্তে নজরদারি চালানো হতো। কিন্তু এলআরআরওএস এমন এক ক্যামেরা যা দিয়ে দিন রাতে সমানভাবে বহুদূর থেকে নজরদারি চালানো যায়। তাছাড়া ওএইচএইচটি আইয়ের মাধ্যমে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের ছবিও কন্ট্রোলরুমে পৌঁছে যাবে। পাশাপশি রাতে জওয়ানদের হাতে নাইটভিশন ক্যামেরা থাকবে।
জামাল হোসেন/এসএস/এমএস