স্বাগত ২০১৬ : এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
নতুন বছরের প্রথম সূর্য উঠবে আজ পূব আকাশে। আজ শুক্রবার নতুন দিন। মহাকালের চিরন্তন গতি প্রবাহে বিগত হয়ে গেলো আরো একটি বছর। শুরু হলো ইংরেজি নতুন বছর-২০১৬। নতুনের প্রতি মানুষের সব সময় থাকে বিশেষ আগ্রহ। থাকে উদ্দীপনা। আর নতুনের মধ্যেই তো নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। আর সেই সম্ভাবনাকে বাস্তাবে রূপ দিতে সুযোগ করে দেবে নতুন বছর। স্বাগত ২০১৬।
আজ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিন। বিশ্ববাসী পা রাখলো নতুন একটি বছরে। বাংলাদেশ পদার্পণ করলো স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫তম বছরে। নতুন বছরের এই নবীন প্রভাতে জাগো নিউজের অগণিত পাঠক, ফেসবুক বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীর প্রতি রইলো শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
২০১৫ সালটা শুরু হয়েছিল অস্থিরতায়। তবে নতুন বছরটায় সেটি নেই। যদিও সবশেষ পৌর নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতি কোন দিকে যায় সেটি নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।
বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি বৃহস্পতিবার সম্মেলন করে নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। পদত্যাগ দাবি করেছে নির্বাচন কমিশনের আর সরকারের। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য।
তবে আর যাই হোক, নতুন বছরের সুন্দর সূর্যের সঙ্গে একটি সুন্দর দিন উদযাপন করবে স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোররা। এদিন বই উৎসব করে তুলে দেয়া হবে নতুন বই। নতুন বইয়ের গন্ধে শুরু হবে তাদের নতুন দিন।
নতুন বছর, এ এমন এক মুহূর্ত, যখন আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখার উপলক্ষও আসে। ঠিক এক বছর আগে যেভাবে আমরা তার আগের বছরের দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকিয়েছিলাম, আশা-প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে চেষ্টা করেছিলাম, ব্যর্থতা ও অপ্রাপ্তিগুলো পূরণের জন্য নতুন আশা ও স্বপ্নে মনকে উজ্জীবিত করেছিলাম, আজও আমাদের মন তা-ই করতে চায়।
নতুন বছরে পদার্পণের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় বছর পূর্ণ হতে চলেছে ৫ জানুয়ারি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষণ নেই। বিরোধ-সংঘাতের সেই পুরনো আবর্তেই রাজনীতি ঘুরপাক খেতে যাচ্ছে।
সরকার মোটের ওপর শাসনকাজ চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমলাতন্ত্রে ব্যাপক রদবদলের ফলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, প্রশাসনে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে, নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হওয়ার কারণে। তবে এনিয়েও একটি পক্ষ নাখোশ।
জঙ্গিবাদী তৎপরতা আগের বছর নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বেশ কিছু নতুন জঙ্গি সংগঠন। কূটনীতিক অঙ্গনে স্বস্তি থাকলেও কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে হরহামেশাই ঢাকায় বিদেশি নাগরিকদের সতর্কতা কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে।
তবে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কিছুটা সহনীয়। যদিও বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা দূর হয়নি। পর্যাপ্ত সম্পদ থাকার পরও বিনিয়োগ হয়নি।
এসব বাস্তবতা সঙ্গে নিয়েই আমরা আরো একটি নতুন বছরে। আমরা সব সময় আশাবাদী। আমরা স্বপ্ন দেখি সামনের দিনগুলো সুন্দর হবে। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জনকল্যাণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে, বৈরিতার পরিবর্তে সহযোগিতার সম্পর্ক সৃষ্টি হবে।
আমরা এগিযে যাবো। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
এসএ/বিএ