আফগানিস্তানে নারীদের জোরপূর্বক বিয়ে নিষিদ্ধ করলো তালেবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিলো তালেবান। দেশটিতে জোরপূর্বক বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে নতুন প্রশাসন। গত শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এক ডিক্রি জারি করে তারা বলেছে, নারীদের ‘সম্পত্তি’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় এবং বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের সম্মতি নিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, নির্দিষ্ট সময় পরে বিধবাদের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করারও অনুমতি দিয়েছে আফগান প্রশাসন।

তালেবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা ডিক্রি ঘোষণায় বলেছেন, নারী-পুরুষ উভয়ে সমান হওয়া উচিত। আফগানিস্তানে কেউ নারীদের জোর খাটিয়ে বা চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করতে পারবে না।

ডিক্রিতে অবশ্য নারীদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর আগে সেটি ১৬ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল।

ডিক্রিতে তালেবান আরও জানিয়েছে, এখন থেকে বিধবা আফগানরা স্বামীর মৃত্যুর ১৭ সপ্তাহ পর নিজের পছন্দের কাউকে বিয়ে করতে পারবেন।

আফগানিস্তানে দীর্ঘদিনের উপজাতীয় প্রথা অনুসারে, বিধবাকে তার প্রয়াত স্বামীর ভাই অথবা অন্য কোনো আত্মীয়কে বিয়ে করা বাধ্যতামূলক ছিল। তালেবান নেতৃত্ব ঘোষণা দিয়েছে, তারা আফগান আদালতকে নারীদের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণের নির্দেশ দিয়েছে, বিশেষ করে বিধবাদের সঙ্গে।

গত আগস্টে ক্ষমতায় আসা গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, তারা জনগণের মধ্যে নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছে।

তালেবানের এ ধরনের ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই সন্তুষ্ট নারী অধিকার কর্মী ও সংগঠনগুলো। শুক্রবার কাবুলে এক কনফারেন্সে আফগান নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবা সিরাজ বলেন, এটি বিশাল ব্যাপার। যদি এটি হয়, যেমনটি হওয়ার কথা ছিল, তবে এই প্রথমবার তারা (তালেবান) এমন ডিক্রি জারি করলো।

সূত্র: আল জাজিরা

কেএএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।