ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার স্থলসীমান্ত চালু
অডিও শুনুন
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা আনছে তখন উল্টো পথে হাঁটছে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। স্থানীয় সময় সোমবার থেকে দেশ দুটি সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততম স্থল সীমান্তে ট্রাভেল লেন চালু করলো টিকার ডোজ সম্পন্ন করা ভ্রমণকারীদের জন্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে স্থলসীমান্ত ক্রসিং জোহোর-সিঙ্গাপুর কজওয়ে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ক্রসিং হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবও সোমবার প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুর সফরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে হঠাৎ করেই স্থলসীমান্ত ক্রসিং বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে দুই দেশে আটকা পড়েন বহু মানুষ। দুই পাড়ের বাসিন্দারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান পরিবার-পরিজন থেকে।
করোনা মহামারির আগে দৈনিক তিন হাজারের বেশি মানুষ মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে যাতায়াত করতেন এই ক্রসিং দিয়ে।
সিঙ্গাপুর সরকার স্থলসীমান্ত চালুর ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক হাজার ৪৪০ জন ভ্রমণকারী প্রত্যেক সীমান্ত থেকে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে নাগরিকত্ব, স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা, অথবা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার আওতায় যারা তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
এ ছাড়া ভ্রমণকারীদের অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। সিঙ্গাপুর রোববার থেকে ভ্রমণকারীদের পৌঁছানোর পর করোনা পরীক্ষা চালু করেছে ওমিক্রন আতঙ্কের পর। মালয়েশিয়াও একই নিয়ম জারি করেছে।
সুতরাং টিকা প্রাপ্তদের জন্য উভয় দেশের মধ্যে সোমবার থেকে আবার চালু হলো ট্রাভেল লেন। সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে এবং মালয়েশিয়ায় আনা হয়েছে ৮০ শতাংশ।
৫০ লাখের কিছু বেশি মানুষের দেশ সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার নাগরিকদের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সিঙ্গাপুরের রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে সেমিকন্ডাক্টর বানানোর কারখানার কর্মীদের অধিকাংশই মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় জোহোর রাজ্যের বাসিন্দা।
সূত্র: রয়টার্স, এনডিটভি
এসএনআর/জেআইএম